পাল্টা হামলা: রাশিয়ার কাছ থেকে ৩টি গ্রাম ছিনিয়ে নিলো ইউক্রেন

প্রথম নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার কবল থেকে তিনটি গ্রাম ছিনিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন। পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির দক্ষিণ-পূর্বে ওই তিনটি গ্রাম মুক্ত করে ইউক্রেনীয় সেনারা। ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে রুশ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বহুল প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর এটিই কিয়েভের প্রথম কোনও জয় বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ‘কাউন্টার অফেন্সিভ’ বা পাল্টা অভিযান শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার (১২ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বহুল প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পূর্বে তিনটি গ্রাম মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেন। সোশ্যাল মিডিয়ার ফুটেজে দেখা গেছে, ইউক্রেনীয় সেনারা দোনেৎস্ক অঞ্চলের ব্লাহোদাত্নে এবং নেসকুচনে জয় উদযাপন করছেন। ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ব্লাহোদাত্নে ও নেসকুচনে ছাড়াও কাছাকাছি এলাকা মাকারিভকাকেও রাশিয়ার কবল থেকে ছিনিয়ে নিজেদের দখলে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিশ্চিত করেন, ইউক্রেনের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়েছে। তার সেই ঘোষণার পর এই তিনটি গ্রাম প্রথম মুক্ত করল ইউক্রেন। অবশ্য রাশিয়া এখনও এই অঞ্চলে ইউক্রেনীয় আক্রমণ প্রতিহত করার কথা বলছে। এছাড়া ইউক্রেনের হাতে নিজেদের কোনও গ্রামের পতন হওয়ার তথ্য এখনও নিশ্চিত করেনি দেশটি। অন্যদিকে, রাশিয়া জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে আরেকটি বাঁধ উড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। এর আগে গত সোমবার নোভা কাখোভকা বাঁধ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। যা আশপাশের এলাকায় ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি করে। ইউক্রেন বলেছে, রুশ বাহিনী যে বাঁধটি উড়িয়ে দিয়েছে, সেটি তারা (রাশিয়া) ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নিয়ন্ত্রণ করছিল।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ভ্যালেরি শেরশেন বলেছেন, মস্কোর বাহিনী নোভোদারিভকা গ্রামের কাছে দ্বিতীয় একটি বাঁধ উড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে ‘মোকরি ইয়ালি নদীর উভয় তীরে বন্যা দেখা দিয়েছে’। শেরশেন আরও বলেন, দখলকৃত এলাকার দিকে ইউক্রেনের অগ্রগতি ঠেকাতে রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ওই অঞ্চলে বাঁধ উড়িয়ে দিচ্ছে। অবশ্য রাশিয়া গত সপ্তাহে ধ্বংস হওয়া নোভা কাখোভকা বাঁধ উড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বাঁধ উড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে।