প্রধানমন্ত্রী দেশের সম্পদ বিক্রি করে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চান : রিজভী

শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাবেক মন্ত্রী ও মেয়র বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এমএ মান্নানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী দেশের সম্পদ বিক্রি করে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চান : রিজভী

 প্রথম নিউজ, (নিজস্ব প্রতিবেদক) ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ১৫ দিনের সফরের দেশ ছাড়লেন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশীদের সাথে দেন-দরবার করতে গেছেন। তিনি দেশের সম্পদ বিক্রি করে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চান? নদী বিক্রি করে, সমুদ্র বিক্রি করে, দেশের সম্পদ বিক্রি করে।  আসলে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) গ্যারান্টি চান। আবার দিনের ভোট রাতে করার নিশ্চয়তা চান। কারণ, আপনি জানেন, জনগণ আপনাকে ভোট দিবে না। শুধু ক্ষমতার স্বার্থে দেশ বিকিয়ে দিলে জনগণ আপনাকে ক্ষমা করবে না।  দেশের মানুষ তা মেনে নিবে না। শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাবেক মন্ত্রী ও মেয়র বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এমএ মান্নানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্মরণসভার আয়োজন করে অধ্যাপক এমএ মান্নান স্মৃতি পরিষদ। 

অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের সকল লাল বাতি জ্বলে গেছে বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আজিজুল বারী হেলাল, সাইফুল ইসলাম নীরব, আব্দুল মোনায়েম মুন্নাসহ-নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে সরকার মনে করছে তাদের শেষ রক্ষা হবে, কিন্তু এবার আর তা হবে না অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের সকল লাল বাতি জ্বলে গেছে। তিনি বলেন, দেশকে জাতীয়ভাবে পঙ্গু করার জন্য, বিরোধীদল শুণ্য করার জন্য চক্রান্ত চলছে। প্রধানমন্ত্রী মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে ডিজিটাল আইনসহ বিভিন্ন কালাকানুন করে বাকস্বাধীনতাকে আটক করে রেখেছে। আজকে ফেসবুকে কেউ সত্য লিখলে, শেয়ার করলে শুধু তাকেই নয়, বাবা-মাসহ পরিবার পরিজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জামিন হয় না। 

তিনি বলেন, এই পৃথিবীর বিভিন্ন কুখ্যাত স্বৈরশাসকের নমুনা আমরা আওয়ামী সরকারের মাঝে দেখতে পাচ্ছি। আজকে এদের অত্যাচারের নমুনা বিট্রিশ শাসনামল, পাকিস্তান শাসনামল, হিটলার ও চেঙ্গিস খানকেও হার মানিয়েছে। এ সরকারের বর্বরতার ইতিহাসও একটি অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে। তিনি বলেন, আপনি দেশের জন্য কিছু আনতে পারেননি, তিস্তার পানি আনতে পারেননি। আপনি শুধু নিঃস্বার্থে সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে গেছেন।  রিজভী বলেন, জেলখানাতেও নির্যাতনের নতুন মাত্রায় যোগ হয়েছে। বিরোধীদলের নেতাদের সেলে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। সেখানে যদি কেউ আমাদের সাথে দেখা করতে আসে তার স্থান হয় কাশিমপুর কারাগার। যেমনি স্থান রয়েছে বিএনপি নেতা সপুসহ অনেক নেতার। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে এবং প্রমোশনের আশায় অতিলোভী কারা কর্মকর্তারা এগুলো করছেন। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শওকত হোসেন সরকারের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, হুমায়ুন কবির খান, কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার আবু আশফাক, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, ওমর ফারুক সাফিন, একরামুজ্জামান বিপ্লব, শাহ রিয়াজুল হান্নান, এম মঞ্জুরুল করিম রনি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা রাশেদুল হক, যুবদল নেতা জাকির হোসেন নান্নু, আহমেদ আলী রুশদি, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফ হাওলাদার, ওলামা দলের মাওলানা নজরুল ইসলাম, সুরুজ আহমেদ, হাসান আজমল ভুইয়া, মনিরুল ইসলাম. মাহমুদ হাসান রাজু, গাজী সালাউদ্দিন,আতাউর রহমান, ছাত্রদল নেতা রোহানউজ্জামান শুকুর প্রমুখ।