পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধসে নিহত কমপক্ষে ৬৭০
ধারণা করা হচ্ছে, তাদের বেশির ভাগই ৬ থেকে ৮ ফুট মাটির নিচে চাপা পড়ে আছেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিধসে পাপুয়া নিউগিনিতে পুরো একটি জনপদ প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। কমপক্ষে দেড়শ’ বাড়ি মাটিচাপা পড়েছে। এর ফলে সেখানে কমপক্ষে ৬৭০ জন মানুষ মাটিচাপা পড়ে নিহত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের বেশির ভাগই ৬ থেকে ৮ ফুট মাটির নিচে চাপা পড়ে আছেন। আশপাশে যারা বেঁচে আছেন তারা উদ্ধার অভিযানে নেমেছেন। তবে যারা মাটিচাপা পড়েছেন তাদেরকে জীবিত উদ্ধারের কোনোই আশা নেই। ফলে উদ্ধারকারীরা এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের শোকাহত আত্মীয়রা আশা ছেড়ে দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। এতে বলা হয়, ভয়াবহ ওই ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬৭০ জন বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে কাজ করছে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক এজেন্সি আইওএম।
এর প্রধান সেরহান আকতোপ্রাক বলেছেন, ইয়ামবালি গ্রাম এবং ইঙ্গা প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের দেয়া হিসাবের ওপর ভিত্তি করে নিহতের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, শুক্রবারের ওই ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫০টি বাড়ি মাটির নিচে তলিয়ে গেছে। এর আগে বলা হয়েছিল, এমন বাড়ির সংখ্যা ৬০টি। আকতোপ্রাক বলেন, কমপক্ষে ৬৭০ জন মানুষ মাটির নিজে চাপা পড়ে আছেন বলে অনুমান করছেন কর্মকর্তারা। শুক্রবার স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তারা মনে করছেন নিহতের সংখ্যা শতাধিক। কিন্তু রোববার নাগাদ উদ্ধার করা হয়েছে মাত্র ৫টি মৃতদেহ এবং ৬ষ্ঠ ভিকটিমের একটি পা। এদিন সেখানে মাটি সরানোর প্রথম কোনো মেকানিক্যাল সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে স্থানীয় একজন বিল্ডার। তারাই উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে। ওই স্থানের মাটি এখনো অনেক দুর্বল। তা স্থিতিশীল নয়। যেকোনো সময় তা ধসে পড়তে পারে। এমন অবস্থায় ওই এলাকায় বসবাসকারী উপজাতি লোকজনকে উঁচু স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, অতিরিক্ত ২৫০টি বাড়িকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এতে ১২৫০ জন মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সমর্থনের জন্য অনুরোধ করা হবে কিনা তা বিবেচনা করছে সরকার। সেরহান আকতোপ্রাক বলেন, তারা নিহতের যে সংখ্যা বলছেন তা একেবারে সঠিক নাও হতে পারে। কারণ, তারা গড়ে প্রতিটি পরিবারের আকারের ওপর ভিত্তি করে এই হিসাব করেছেন। নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬৭০-এর বেশিও হতে পারে। যে এলাকা ধসে পড়েছে তা তিন থেকে চারটি ফুটবল মাঠের সমান। এর ধ্বংসস্তূপ যেদিকে তার অন্যপাশে উদ্ধার করা জনগণকে নিরাপদে রাখা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও দুর্গত মানুষের কাছে খাদ্য, পানি এবং অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সরবরাহ পাঠানো হয়েছে শনিবার। এসব সরবরাহ নিয়ে যাওয়া গাড়িবহরকে নিরাপত্তা দিচ্ছে পাপুয়া নিউগিনির সেনারা।