লক্ষাধিক ভোটে পাস করবো, মরে গেলেও মাঠ ছাড়বো না: তৈমূর
নাসিকে বিভিন্নস্থানে বহিরাগত লোকজনে ভরে গেছে
প্রথম নিউজ,নারায়ণগঞ্জ: লক্ষাধিক ভোটে জেতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেনারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, মানুষের ওপর যত অত্যাচার হয় ভোটাররা ততো ঐক্যবদ্ধ হয়। লক্ষাধিক ভোটে পাশ করবো। মরে গেলেও মাঠ ছাড়বো না।
আজ শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় শহরের মাসদাইর এলাকার নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আজ আপনাদের সামনে হাজেরা বেগম উপস্থিত আছে। তার স্বামী মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক। সে আমার বাড়িতে রাত দুটো পর্যন্ত ছিল। তাকে ঈদগাহের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই আমার দলের গুরুত্বপূর্ণ পদের নেতা এবং নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছে। এমনকি সরকারি দলের সদস্যদেরও হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। পাঠানটুলি এলাকার একটা ছেলে আহসান, সেই এলাকায় আমার নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছিল। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি এখনও তার খোঁজ পাইনি।
তিনি আরো বলেন, আমি প্রচার না সংবাদ সম্মেলন করছি। আমি ভোট চাইনি। আমার ঘরে আগুন লাগিয়ে দিলে আমি কি বলবো না? আমার লোকজন গ্রেফতার হচ্ছে, আমার গলায় আপনি ফাঁসি লাগিয়ে দিবেন, আমি কথা বলতে পারবো না। সেটা তো হবে না। এটা নৈতিক দায়িত্ব। প্রশাসনকে বলব জনগণের সেবা করা আপনাদের দায়িত্ব। বহুবার রিকোয়েস্ট করেছি এখন বিবেকের কাছে ছেড়ে দিলাম। আগামীকালের ভোট যাই হোক আমরা মাঠে থাকবো। গ্রেফতার হলে হবো কিন্তু নির্বাচন চালিয়ে যাবো।
এর আগে শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) প্রচারণা শেষে রাত দশটায় নগরীর মাসদাইরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন তৈমুর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বলছে, ইভিএম মেশিন নষ্ট হলে বা হ্যাং করলে তা মেরামতের জন্য প্রতি কেন্দ্রে একজন করে টেকনিশিয়ান থাকবে। মেশিন মেরামত করার আগে এজেন্টদের দেখিয়ে যেন তা করা হয়। সিসি ক্যামেরা না খোলার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধও করেন তিনি।
নির্বাচনি এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ এবং ভোটগণনা পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়ার দাবিও জানান তৈমুর। নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে নগরীর বিভিন্ন বাড়িঘর, হোটেল, সার্কিট হাউজ, ডাকবাংলোয় বহিরাগত লোকজনে ভরে গেছে বলে অভিযোগ তার। তিনি বলেন, ভোটের দিন এরা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা করতে পারে।
তৈমুর বলেন, ‘আমার লোকজনও যদি কেন্দ্রে সহিংসতা করে তবে সেটা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়বে। তৃতীয় চোখ হিসেবে সাক্ষী থাকুক সিসিটিভি। অন্য কেউ সহিংসতা করলে সেটাও ধরা পড়বে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: