৮দফা দাবিতে ১৪ অক্টোবর রাজধাণীতে মহাসমাবেশ করবে খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
প্রথম নিউজ, ঢাকা: আগামী ১৪ অক্টোবর সকাল ১০ টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খেলাফত মজলিসের মহাসমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ দুপুর ১২টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদের।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড: মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সালেহীন, কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মহানগরী উত্তর সভাপতি সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হাফেজ জিন্নাত আলী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, ঢাকা মহানগরী উত্তর সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক, শ্রমিক মজলিস সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আমির আলী হাওলাদার, ইসলামী যুব মজলিস যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা সোহাইল আহমদ প্রমুখ।
বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ড: আহমদ আবদুল কাদের বলেন, বর্তমানে দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা ও বিদেশে অর্থ পাচারের কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ^াস উঠেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে এসে ঠেকেছে। বিদেশী ঋণের বোঝা দিন দিন বেড়েই চলছে। শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গণের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। অপসংস্কৃতির আগ্রাসনে আমাদের সাংষ্কৃতিক অস্তিত্ব হুমকীর মুখে। বেকার সমস্যা, মাদকাসক্তি, যুব সমাজের মাঝে হতাশা আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে। মানুষের জান মাল ও ইজ্জতের ন্যূনতম গ্যারান্টি নেই।
তিনি বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকারের দমন-পীড়নে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ অস্থিতিশীল হচ্ছে। হত্যা-নির্যাতন, জেল-জুলুম, হামলা-মামলার মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রিত বলয়ের মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। বহু আলেম-ওলামাকে গ্রেফতার করে মামলা দিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। নাম পরিবর্তন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ঘষামাঝা করলেও পুরনো নিপীড়নমূলক ধারাগুলো এখনো রয়ে গেছে। এখনো এই আইনের অপপ্রয়োগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করা হচ্ছে।