নানা কৌশলে ঢাকায় আসছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নয়াপল্টন এলাকায় বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: পুলিশি গ্রেপ্তার ও তল্লাশি চৌকি এড়িয়ে নানা কৌশলে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে ঢাকায় আসছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। কেউ সবজি বিক্রেতা সেজে, কেউ ডাক্তার দেখানোর কথা বলে, আবার কেউ পাসপোর্ট হাতে নিয়ে বিদেশে যাওয়ার কথা বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ পার হন তারা। শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নয়াপল্টন এলাকায় বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জ থেকে সবজি বিক্রেতা সেজে ঢাকায় আসা মালেক বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় সবজি নিয়ে ঢাকায় আসছি। কারওয়ান বাজারে ওইগুলা বিক্রি করে সেখানেই রাতে ছিলাম। সকালে এইখানের আশপাশে ঘুরছিলাম। এখন লোক জমছে দেখে অফিসের (বিএনপির কার্যালয়ের) সামনে আসছি। কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, আমরা ঢাকার বাইরে থেকে দূর দূরান্ত থেকে এসেছি আমাদের কর্মসূচি সফল করতে। আমাদের যাওয়ার অন্য কোন জায়গা নেই তাই নয়াপল্টনে অবস্থান করছি। গ্রেপ্তার হলেও আমরা এখানে অবস্থান করবো। বিজয় অর্জন না করে ঘরে ফিরবো না।
এদিকে ভিসা-পাসপোর্ট সঙ্গে নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকায় এসেছেন আব্দুল জলিল। সঙ্গে করে আরও দুজনকে নিয়ে এসেছেন তিনি। ঢাকায় প্রবেশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আব্দুল জলিল বলেন, নিজের সিস্টেমে আসছি। ঢাকায় ঢুকতে বাধা এড়াতে অনেক কর্মী কয়েকদিন আগেই ঢাকায় প্রবেশ করেছেন। যার সম্ভব হয়েছে আত্মীয় বাড়িতে এসে উঠেছেন। কেউ আবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ময়মনসিংহ থেকে আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে আসার নাম করে তিন দিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন নুর আলম।
তিনি বলেন, গত তিন দিন ধরে ঢাকায় আছি। প্রত্যেকদিনই আসি কার্যালয়ের সামনে। ভালো লাগে। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় প্রবেশ করা বেশ কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা হাসপাতালে ভর্তির নাম করে ঢাকায় এসেছেন। তারা বলেন, চিকিৎসার পাশাপাশি সমাবেশে যোগ দিতে তাদের আসা। রাজধানীর একটি হাসপাতালে রোগী নিয়ে এসেছিলেন জানিয়ে বগুড়া জয়পুরহাট থেকে আসা আওয়াল বলেন, আমি ভর্তি ছিলাম না। তবে সঙ্গে রাতে রোগী ছিলো। তার সঙ্গেই আসছি। তারে ডাক্তার দেখিয়ে ভর্তি করে আসছি।