তিস্তার পানি বাড়ছে, আবার বন্যার আশঙ্কা

হাতীবান্ধা উপজেলায়  তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে

তিস্তার পানি বাড়ছে, আবার বন্যার আশঙ্কা
হাতীবান্ধা উপজেলায়  তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে

প্রথম নিউজ,লালমনিরহাট: টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। বর্তমানে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা, সানিয়াজান, সিঙ্গিমারী, স্বর্ণামতি ও রত্নাই নদীর পানিও বেড়েছে। এতে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নে তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে সোমবার (১৩ জুন) সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ডালিয়া পয়েন্টের পাউবোর গেজ পাঠক নুর ইসলাম জানান, বর্তমান আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে পানিপ্রবাহ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া তিস্তার উজান ভারত থেকেও পানি নেমে আসছে। এজন্য বন্যার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

স্থানীয় বোরো ধান চাষি ও পাউবো কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চৈত্র-বৈশাখে প্রায় পানিশূন্য তিস্তা গত কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে ও পাহাড়ি ঢলে যেন যৌবন ফিরে পেয়েছে। নদীর দুই তীরে স্রোতের তালে তালে ঢেউয়ের কলকল শব্দে পানি বিপৎসীমাও ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে তিস্তা নদীর ভাটিতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের কিছু কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আষাঢ়ের শুরুতেই বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, ‌‌‘সোমবার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রবিবার বিকালে ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে আমার ইউনিয়নসহ হাতীবান্ধা উপজেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। বর্তমানে চরের জমিতে কৃষকের কোনও ফসল নেই। তাই ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কাও নেই। তবে কিছু কিছু এলাকায় সবজি ক্ষেত ও আমন বীজতলার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। আমরা সজাগ আছি, যেন কারও কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হয়।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, ‘তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও তিস্তার উজান ভারত থেকে পাহাড়ি ঢলে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন বন্যা হলেও কৃষকের কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ, জমিতে এখনও তেমন কোনও ফসল নেই।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom