তরুণ বয়সে যে হলিউড নায়কের প্রেমে পড়েছিলেন শাবনূর
প্রথম নিউজ, অনলাইন: দীর্ঘ ৩১ বছরের ক্যারিয়ারে অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। প্রয়াত পরিচালক এহতেশামের হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন তিনি। নির্মাতা এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’ সিনেমার মাধ্যমে ১৯৯৩ সালে বড়পর্দায় নাম লেখান এ অভিনেত্রী। তারপর একে একে অভিনয় করেন ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বউ শাশুড়ির যুদ্ধ’, ‘হৃদয়ের বন্ধন’, ‘মোল্লাবাড়ির বউ’সহ আরও বহু ব্যবসাসফল সিনেমা।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সিনেমা জগতে কাজ করছেন শাবনূর। এখন নিয়মিত পর্দায় না থাকলেও তার জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতেই অবস্থান করছেন এ অভিনেত্রী। সেখান থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ছবি-ভিডিও ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন নব্বই দশকের এ গ্ল্যামার কুইন।
শাবনূর ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মিডিয়ায় আলোচনায় শীর্ষে ছিলেন। তবে তিনি নিজেকে সবসময় গোপন রাখতে পছন্দ করতেন। তার ব্যক্তিগত জীবন, বিশেষ করে সম্পর্ক ও পরিবার সম্পর্কে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে। সেসব নিয়ে হ্যাঁ বা না— কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখাতেন না তিনি। খুব যত্ন করেই যেন নিজেকে অপ্রকাশিত রাখতেন। এই গোপনীয়তা ও নীরবতা থেকে রহস্যময়ী শাবনূরকে নিয়ে সবার কৌতূহল থাকুক, চর্চা চলুক হয়তো সেটাই চাইতেন অভিনেত্রী।
এই গ্ল্যামার কুইনকে নিয়ে একসময় স্বপ্নের সুতা বুনতেন অসংখ্য তরুণ। সহশিল্পীকে জড়িয়ে তার প্রেমের গুঞ্জন শোনা গেছে অনেক। কিন্তু শাবনূরও কি কারও প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন? অবশেষে সেই প্রেম নিয়ে কথা বললেন এ অভিনেত্রী।
শাবনূর বলেন, দেশের বাইরের তারকাদের মধ্যে টম ক্রুজ আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দের। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও আছেন সেই পছন্দের তালিকায়। তারা যে আমার ক্রাশ, এটা আমার পরিবারের সবাই জানে। আমার স্কুলপড়ুয়া ছেলেও এটা জানে।
বুড়ো হয়ে গেলেও টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করতে চান শাবনূর। তিনি বলেন, তরুণী থাকতেই মধুমিতায় টম ক্রুজের “মিশন ইম্পসিবল” দেখেছিলাম। এই সিনেমা দেখেই টম ক্রুজের প্রেমে পড়ে যাই। বুড়ো হয়ে গেলেও একবার টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমার ছেলেও বলছে, সে বড় হলে আমাকে আমেরিকা নিয়ে যাবে; টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবে। আমিও অধীর আগ্রহে আছি টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করার জন্য। সামনাসামনি টম ক্রুজের দেখা পেলে একগুচ্ছ গোলাপ দেব বলে জানান শাবনূর।
শাবনূর বলেন, আর লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও আমার ভীষণ পছন্দ। কারণ টাইটানিক দেখার পর লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও আমার ক্রাশ। মনে মনে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নায়িকা হতে না চাইলেও ভালো লাগত আরকি! চকলেট বয় টাইপ ছিল তো! এই টাইপের হিরোরা বরাবরই আমার পছন্দ।
‘চকলেট বয়’ টাইপের নায়কদের বেছে নেওয়ার কারণ জানিয়ে শাবনূর বলেন, আমি সবসময় চকলেট বয়দের সঙ্গে কাজ করেছি। খুঁজে খুঁজে চকলেট বয় হিরোদের সঙ্গে কাজ করছি। আমার নায়কদের তালিকা দেখলেও তা বোঝা যাবে। যেমন— আমার বেশিরভাগ সিনেমার নায়ক সালমান শাহ, ফেরদৌস, রিয়াজ, শাকিব— সবাই চকলেট বয়। আমার সব হিরোই চকলেট বয় টাইপের।