ত্রাণ নয়, জিও ব্যাগ চাই

অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা।

ত্রাণ নয়, জিও ব্যাগ চাই

প্রথম নিউজ, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের চিতুলিয়া পাড়া, মাটিকাটা ও পাটিতাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে যমুনার তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধনসহ সড়ক অবরোধ করে নদী ভাঙন প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটি। 

আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের মাটিকাটা মোড় এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এতে ভাঙন কবলিত এলাকার শত শত নারী-পুরুষ, স্কুল, কলেজ ও  মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা  অংশ নেয়। অবরোধের কারনে উভয় পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। এর ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।

এদিকে খবর  ঘটনাস্থলে ছুটে যান ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন। তিনি ভাঙন রোধে আরো দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন। নিকরাইল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ডল বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের এলাকায় যমুনার ভাঙন অসংখ্য ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, রাস্তাঘাটসহ শত শত ঘরবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। জিও ব্যাগ ফেলা ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তিনি। 

এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.বেলাল হোসেন বলেন, ভাঙন ঠেকাতে ভাঙন কবলিত এলাকায় ইতিমধ্যে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও ভাঙন কবলিত এলাকায় যাতে আরো দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলা যায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নদী ভাঙনে যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছে তাদের তালিকা করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। ঘর করে দেয়া হবে। এছাড়াও আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।
এদিকে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনিরের হস্তক্ষেপে ভাঙন কবলিত ৫৫ মিটার এলাকা জুড়ে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন- ভূঞাপুরের যমুনা পূর্ব পাড়ে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আজ থেকে ভাঙন কবলিত এলাকায় দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।