তীব্র থেকে অতি তীব্র হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হচ্ছে। সেটি পর্যায়ক্রমে ঘূর্ণিঝড় থেকে তীব্র ঘূর্ণিঝড় ও অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এখন যে গতি তাতে ১৪ই মে সন্ধ্যায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তবে এরমধ্যে গতি বাড়তে বা কমতেও পারে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় কোন দিকে অগ্রসর হবে সেটার ওপর নির্ভর করবে ক্ষয়ক্ষতি। এখনো ঝড় তৈরি হয়নি, আগামীকালের পরে আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারবো, কোথায় আঘাত হানবে। তিনি বলেন, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পটুয়াখালীতে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। সাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় সারা দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ একেবারে কমে গেছে এবং বায়ুমণ্ডলে আদ্রতা বেড়ে গেছে। ১২ই মে থেকে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হবে এবং তাপপ্রবাহের প্রবণতা কমে আসবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা ইস্যুতে সরকার সবদিক থেকেই প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। গতকাল সচিবালয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রতিবারের মতো ইনশাআল্লাহ এবারো ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে পারবো। সেনা, নৌ ও কোস্টগার্ড প্রস্তুত আছে। এটা সুপার সাইক্লোন হবে, এমন পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। মোখা ১৩ মে রাত থেকে ১৪ই মে সকালের মধ্যে বাংলাদেশের কক্সবাজারে এটি আঘাত হানতে পারে। বিশেষ করে সেন্টমার্টিনের নিচু এলাকায় আঘাত হানতে পারে। এতে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা আছে।