তাবিজ পুঁতে রাখতে গিয়ে ভায়রাকে খুন করেন রিমন

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুনসী।

তাবিজ পুঁতে রাখতে গিয়ে ভায়রাকে খুন করেন রিমন

প্রথম নিউজ, পাবনা: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় তালাকপ্রাপ্ত শ্যালিকা সাজেদা খাতুনের সংসার ফের জোড়া দিতে কবিরাজের দেওয়া তাবিজ পুঁতে রাখতে গিয়েছিলেন দুলাভাই মো. রিমন সরকার। কিন্তু বাড়ির পাশে তাবিজ পুঁতে রাখার সময় রিমনকে দেখে ফেলায় হাতাহাতি হয় শ্যালিকার সাবেক স্বামী হাসিনুর রহমান হাসুর সঙ্গে। একপর্যায়ে ভায়রা হাসুকে হত্যা করেন রিমন। এই হত্যাকাণ্ড ভিন্নখাতে নিতে হাসুর বাড়িতে সিঁদও কাটেন রিমন।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুনসী।

তিনি জানান, হাসিনুর রহমান হাসুর প্রথম স্ত্রী মানসিক অসুস্থ থাকায় পরিবারের সম্মতিতে তিনি সাজেদা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সম্প্রতি এক কন্যা সন্তানের জননী সাজেদা খাতুনকে তালাক দেন স্বামী। কিন্তু সাজেদা ফের স্বামীর সংসারে ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে এক কবিরাজের দেওয়া তাবিজ সাবেক স্বামী হাসুর বাড়িতে পুঁতে রাখতে দুলাভাই রিমন সরকারকে পাঠান তিনি। রিমন সেই তাবিজ হাসুর বাড়িতে পুঁতে রাখতে গিয়ে হাসুর হাতে ধরা পড়েন। হাসু তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বললে তাকে লোহার শাবল দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করের রিমন। এই ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে নিহত হাসুর ঘরে সিঁদ কেটে রাখেন রিমন। যাতে মানুষ মনে করে- চোর চুরি করতে এসে তাকে হত্যা করেছে।

পুলিশ সুপার জানান, হত্যাকাণ্ডের মূল ঘটনা উদ্ঘাটন করতে চেষ্টা চালায় পুলিশ। একপর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘাতক রিমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার দেওয়া তথ্য মতে সেই তাবিজ, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত শাবল, দা ও রক্ত মাখা শার্ট ও লুঙ্গি টয়লেটের ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত রিমন সরকার (২৮) ভাঙ্গুড়া উপজেলার রাঙ্গালিয়া পশ্চিমপাড়ার আতিকুর রহমানের ছেলে। নিহত হাসিনুর রহমান হাসু (৫৩) উপজেলার চৌবাড়িয়া হারোপাড়ার মৃত সোবাহান সরদারের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ডিএম হাসিবুল বেনজীর, সহকারী পুলিশ সুপার আরজুমা আকতার ও আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমানসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।