ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের আহ্বান জাতিসংঘের মানবাধিকারপ্রধানের
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে দেওয়া বক্তৃতায় বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরার সময় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভলকার টুর্ক তাঁর পূর্বসূরি মিশেল ব্যাশেলেতের আহ্বানেরই পুনরাবৃত্তি করলেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া মানবাধিকার পরিষদের ৫২তম অধিবেশনের বক্তৃতায় হাইকমিশনার টুর্ক ৪০টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কোন কোন বিষয়ে তাঁর উদ্বেগ রয়েছে, তা তুলে ধরেন।
প্রথম নিউজ, ডেস্ক জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে দেওয়া বক্তৃতায় বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরার সময় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভলকার টুর্ক তাঁর পূর্বসূরি মিশেল ব্যাশেলেতের আহ্বানেরই পুনরাবৃত্তি করলেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া মানবাধিকার পরিষদের ৫২তম অধিবেশনের বক্তৃতায় হাইকমিশনার টুর্ক ৪০টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কোন কোন বিষয়ে তাঁর উদ্বেগ রয়েছে, তা তুলে ধরেন।বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়তে থাকা, রাজনৈতিক কর্মীদের নির্বিচার গ্রেপ্তার, নির্বাচন সামনে রেখে মানবাধিকার এবং গণমাধ্যমকর্মীদের অব্যাহত হয়রানির কথা উল্লেখ করে এর জন্য ভলকার টুর্ক হতাশা প্রকাশ করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে ভলকার টুর্ক বলেন, তাঁর দপ্তরের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তিনি এটিকে সংশোধন করার আহ্বান জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, যারা তাদের স্বাধীন মতপ্রকাশ এবং বিশ্বাসের অধিকার প্রয়োগ করছে, তাদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগর মাধ্যমে ফৌজদারি সাজা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশ সফরের সময় সাবেক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেত বলেছিলেন, তাঁর দপ্তর সরকারের কাছে আইনটি সংশোধনে সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা পেশ করেছে। তিনি তখন ওই সুপারিশ অনুযায়ী আইনটি সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
গত ছয় মাসেও এই বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকমিশনারের দপ্তরে সুপারিশমালার বিস্তারিত প্রকাশের জন্য প্রথম আলো যোগাযোগ করলে তাঁরা জানান যে ওএইচসিএইচআর তিনটি মূল ইস্যুর কথা উল্লেখ করেছে। ভিন্নমত প্রকাশকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা, কথিত অপরাধ প্রতিরোধের ক্ষমতার পরিধির ব্যাপকতা ও জামিন ছাড়া দীর্ঘ সময়ের বন্দিত্বের বিষয়গুলো সংশোধনের জন্যই তাঁরা সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
উল্লেখ্য, ওএইচসিআরের সুপারিশমালাকে খসড়া অভিহিত করে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এটি চূড়ান্ত হয়নি। সেই সুপারিশ নিয়ে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকমিশনার টুর্ক মঙ্গলবার বলেছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি তা সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: