টাকা না দেওয়ায় তৃতীয় স্ত্রীকে মেরে ফেললেন স্বামী
প্রথম নিউজ, গাজীপুর : গাজীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে তৃতীয় স্ত্রী সীমা বেগমকে (৩৪) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মোবারক হোসেনের (৩৬) বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গাজীপুরের সদর উপজেলার মনিপুর নামাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর নিহতের ছোট বোন মোছা. রুমা বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত মোবারক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালকে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত সীমা বেগম পাবনার ফরিদপুর উপজেলার দেনুয়াঘাটা গ্রামের হারুন অর রশিদের মোল্লার মেয়ে। গ্রেপ্তার মোবারক হোসেন গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর নামাপাড়া গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে। সীমাকে বছর খানেক আগে মোবারক বিয়ে করেন।
মামলার বাদী নিহতের ছোট বোন রুমা বলেন, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে এবং নেশার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সীমা ও মোবারকের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লাগতো। মোবারক প্রায়ই সীমার কাছে নগদ টাকা দাবি করতো, টাকা না দিলে সীমাকে মারধর করতো। ঘটনার দিন শনিবার সীমাকে কয়েকবার মারধর করে। মারধরের কারণে একপর্যায়ে সীমা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে এক আত্মীয়ের সহযোগিতায় প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সীমাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সীমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, মোবারক এর আগেও দুটি বিয়ে করেছেন। মারধর করার কারণে আগের দুই স্ত্রী মোবারককে তালাক দিয়ে চলে যায়। সীমা বেগমকে আনুমানিক এক বছর আগে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন মোবারক। সীমারও এটা দ্বিতীয় বিয়ে। সীমার প্রথম ঘরে মিরাজুল ইসলাম নামে (১৩) একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সে তার মায়ের সাথেই থাকতো।
এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহতাব উদ্দিন জানান, সীমা বেগম নামে এক নারীকে পিটিয়ে হতার অভিযোগে তার স্বামী মোবারক হোসেনকে আটক করা হয়। পরে নিহত নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার পর মোবারক হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।