জনগণ দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না: আমিনুল হক

জনগণ দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না: আমিনুল হক

প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পরিসরে একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। তিনি যখন ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করছেন, তা একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে পরবর্তীতে কে বা কারা ক্ষমতার দায়িত্ব নেবেন, সে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের জনগণ। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর পল্লবীর ২ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে ২৮ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য তারুণ্যের মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এক যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমানুল হক বলেন, বিএনপি জনগণের ওপর পরিপূর্ণভাবে আস্থাশীল। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের সকল কর্মসূচি পরিচালনা করতে চাই। আমাদের পথচলা সাধারণ মানুষকে নিয়েই। আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, এ সরকারের কিছু উপদেষ্টা দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণের অর্থ অবৈধভাবে উপার্জন করছেন এবং তা ব্যবহার করে নিজেদের পরিবারকে স্বাবলম্বী করছেন। ইতোমধ্যেই তাদের দুর্নীতির চিত্র জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়েছে। জনগণ এ ধরনের দুর্নীতিবাজদের আর রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমরা দ্রুত তাদের পদত্যাগ দাবি করছি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে আমিনুল হক বলেন, স্বৈরাচার মুক্ত হওয়ার পর থেকে আমরা এ অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। তারা সংস্কার ও বিচার ইস্যুতে নানা অজুহাত দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু জনগণের দৃষ্টিতে তা কোনো কাজেই আসেনি। যদি তারা নিজেদের স্বার্থে অহেতুক নির্বাচন বিলম্বিত করে, তাহলে জনগণ তা মেনে নেবে না।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ৯ মাসেও এই সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের প্রশ্রয় দিয়ে নিজেরাই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আমরা এই ধরনের বিতর্ক চাই না। আমরা চাই, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক। জনগণই ঠিক করবে কীভাবে দেশ চলবে এবং কে স্বৈরাচারের দোসর, তা বিচার করবে।

 তরুণদের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটি তরুণ ভোটার রয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে স্বৈরাচারী ও জনবিচ্ছিন্ন সরকারের কারণে তারা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ৫ আগস্টের পর যারা নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হয়েছেন, তাদের চিন্তাভাবনা ও স্বপ্নকে আমরা সম্মান করি। আমরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলছি, আমরাও সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে চাই। সভাটি সঞ্চালনা করেন মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামান।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, মো. আক্তার হোসেন, আতাউর রহমান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, এম. কফিল উদ্দিন আহমেদ, আফাজ উদ্দিন, হাজী মো. ইউসুফ, তহিরুল ইসলাম তুহিন, শাহ আলম, মাহবুব আলম মন্টু, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আলী আকবর আলী, জাহাঙ্গীর মোল্লা, শফিকুল ইসলাম শাহিন, রেজাউর রহমান ফাহিম, মো. নজরুল ইসলাম, ডা. এ কে এম কবির আহমেদ রিয়াজ, হুমায়ুন কবির রওশন, জিয়াউর রহমান জিয়া, আবুল হোসেন আব্দুল, আশরাফুজ্জামান জাহান, হাফিজুল হাসান শুভ্র, শামীম পারভেজ, সালাম সরকার, মনিরুল আলম রাহিমী, আবুল কালাম আজাদ, মাহাবুবুল হক ভূঁইয়া শাহিন, সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, ফারুক হোসেন ভূঁইয়া, নাসির উদ্দিন, মো. আলী, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, রফিকুল ইসলাম খান, এ এস এম খালেদ, এমএস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল, মাহবুবুর রহমান, হান্নানুর রহমান ভূঁইয়া, তাসলিমা রিতা প্রমুখ।

এ ছাড়া বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন, যেমন যুবদল, মহিলা দল, জাসাস, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, ছাত্রদল, ও তাতীদল।