চীনে রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা
চীনের উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশে নজিরবিহীন তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : চীনের উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশে নজিরবিহীন তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের শাহে শহরে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ৩১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (৮৯ ফারেনহাইট) পৌঁছায়। যা আবহাওয়া পরিস্থিতির মৌসুমী রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বলে দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে।
শাহে ছাড়াও হেবেই প্রদেশের গাওয়ি, ইয়ংনিয়ান এবং হান্ডানের মতো অঞ্চলগুলোতেও চলতি বছরের শুরুতে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। একই সঙ্গে চলতি মার্চ মাসের প্রথমার্ধে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার মুখোমুখি হয়েছে এসব শহর।
চীনের সরকারি আবহাওয়ার পূর্বাভাষবিষয়ক এক কর্মকর্তা স্থানীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে বলেছেন, ‘আজ আমরা রেকর্ড উচ্চ-তাপমাত্রার পাশাপাশি দ্রুত উষ্ণ হয়ে যাওয়া পৃথিবী দেখছি।’
চলতি সপ্তাহে চীনের এক ডজনেরও বেশি শহর অন্যান্য বছরের এই সময়ের তুলনায় রেকর্ড উচ্চ-তাপমাত্রা দেখেছে। চীনের উহান এবং ঝেংঝু শহরে মার্চের শুরুতে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে।
গত মাসে দেশটির দক্ষিণের কিছু অঞ্চলে স্বাভাবিক সময়ের প্রায় ২০ দিন আগেই বসন্তের আগমন ঘটেছে বলে চীনের আবহাওয়া প্রশাসন (সিএমএ) জানিয়েছে।
বেইজিং বলছে, অন্যান্য দেশের তুলনায় জলবায়ু পরিবর্তনের বেশি ঝুঁকিতে আছে চীন। আগামী বছরগুলোতে দেশটির চরম আবহাওয়ার রেকর্ড হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।
চলতি বছর প্রকাশিত আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা বিশ্বের ২০টি অঞ্চলের মধ্যে ১৬টির অবস্থান চীনে।
সিএমএর বিশেষজ্ঞ ঝ্যাং জিংইং স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, চীনে গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি বৈশ্বিক স্তরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। কিন্তু দেশটিতে রেকর্ড-ভাঙা তাপমাত্রা ‘নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে।’
চীনের সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল বিজনেস ডেইলিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বর্তমান চরম উচ্চ-তাপমাত্রার ঘটনাগুলো সাধারণত প্রতি ৫০ বছরে একবার ঘটে। যা একুশ শতকের শেষের দিক নাগাদ প্রতি এক বা দুই বছরে একবার ঘটবে।’
গত গ্রীষ্মের তাপ এবং দীর্ঘস্থায়ী খরার পর প্রচুর পরিমাণ পানি ব্যবহার করে এমন প্রকল্পগুলো বন্ধ করার জন্য ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রাজধানী বেইজিংয়ে কড়া বিধি-বিধান চালু করা হয়। সেসময় ওই প্রকল্পগুলোর কারণে বেইজিংয়ে পানি এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের সংকট দেখা দিয়েছিল।
বেইজিং ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন বিধিতে পানি অপচয়ের শাস্তি বৃদ্ধি করা হয়।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: