গ্রাহককে না জানিয়ে অতিরিক্ত সুদ নেওয়া যাবে না
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে এমন ঘটনা উঠে আসার পর আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুদহার পরিবর্তনের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন : অনেক সময় সব কিস্তি পরিশোধ করার পর ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা জানতে পারছেন তাঁর ঋণটি পুরোটা সমন্বয় হয়নি। গ্রাহককে না জানিয়ে অতিরিক্ত সুদ ও বাড়তি সেবা খরচ নেওয়ার ফলে এমন ঘটনা ঘটছে। এতে বিপাকে পড়ছেন ঋণগ্রহীতারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে এমন ঘটনা উঠে আসার পর আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুদহার পরিবর্তনের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে নতুন নির্দেশনা।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, গ্রাহকের সঙ্গে ঋণচুক্তির আওতায় সুদহার পরিবর্তনের যৌক্তিকতা উল্লেখপূর্বক ন্যূনতম এক মাস আগে ঋণের নথিতে সংরক্ষিত সর্বশেষ হালনাগাদ যোগাযোগের ঠিকানায় ডাকযোগে গ্রাহককে নোটিশ পাঠাতে হবে। পাশাপাশি গ্রাহকের নোটিশ প্রাপ্তির প্রমাণপত্র সংশ্লিষ্ট ঋণ নথিতে সংরক্ষণ করতে হবে। ঋণচুক্তির আওতায় সুদহার কমানো ও বাড়ানোর ক্ষেত্রে সংকুচিত বা অতিরিক্ত অর্থ পরবর্তী কিস্তির সঙ্গে সমান হারে সমন্বয় করে গ্রাহককে নতুন পরিশোধ সূচি জানাতে হবে।
অতিরিক্ত সুদহার ও সেবা খরচসংক্রান্ত বিষয়ে গ্রাহকেরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, অনেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে অভিযোগ নিষ্পত্তিতে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বারস্থ হচ্ছেন, যা অনভিপ্রেত। এদিকে কোনো গ্রাহক বাড়তি সুদের চিঠি পাওয়ার পর যদি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এক মাসের মধ্যে সম্পর্ক গুটিয়ে নিতে চান, তাহলে তাঁর কাছ থেকে কোনো সেবা খরচ নিতে পারবে না ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুদহারে অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ খাতের নিয়ন্ত্রক এই প্রতিষ্ঠান। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে আমানত সংগ্রহ করতে পারে। আর ঋণ দিতে পারে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ সুদে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: