খালেদা জিয়ার কিছু হলে প্রধানমন্ত্রীর বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে : গয়েশ্বর
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ডাক্তার বারবার বলছে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো না। উনাকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য বারবার দাবি করলে সরকার শুনছে না। খালেদা জিয়া যদি বিনা চিকিৎসায় মারা যায়, তাহলে শেখ হাসিনার বেঁচে থাকাও কঠিন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বিদেশেও স্যাংশন দেওয়া আছে, কোথায় পালাবেন আপনি(প্রধানমন্ত্রী)।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে একটি রেস্তরাঁয় জিয়া মঞ্চে ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজন সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সালাম।
এসময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জিয়া মঞ্চের আব্দুল হামিদ, এ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান, আব্দুল আলীম, প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তা প্রমুখ।
গয়েশ্বর বলেন, শেখ হাসিনা অনেক খেলেছেন। এবার ধরা খেয়েছে। এক ফুলের দুই মালি। একদিকে পশ্চিমারা, আরেকদিকে ভারত। ভারত প্রীতির কারণে হারাতে হবে পশ্চিমাদের, আর আমেরিকাকে খুশি রাখলে হারাতে হবে ভারতকে। খুব বেশিই বিপদে পড়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতো। তাহলে চীনের সাথে কি সম্পর্ক পরকীয়ার? প্রশ্ন রাখেন গয়েশ্বর।
তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলেও আওয়ামী লীগ করে না। মূলত নিম্নমধ্যবিত্তরা আওয়ামী লীগ করে। যার কারণে তাদের ক্ষুধা বেশি। এবার তারা এত বেশি খেয়েছে যে তাদের পেটের অবস্থা কাহিল।
তিনি আরও বলেন, শুনলাম কিছু ব্যবসায়ী আমোদ ফূর্তি ও কেনাকাটার জন্য আমেরিকা সফরকারীদের টাকা দিয়েছে। কেনার জন্য নাকি কিছু পায়নি।
তিনি বলেন, আজকে দেশের দূর্নীতি, গনতন্ত্রহীনতা, ভোট চুরির কারণে আমেরিকা জনগণের পক্ষে দাঁড়ালেও তারা আমাদের ক্ষমতায় বসাবে না। তারা চায়, তাদের মতো যেনো সকলের অধিকার সকলে ফিরে পায়। ক্ষমতায় আসার জন্য আমাদেরকেই কাজ করতে হবে। তাই জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
গয়েশ্বর তার বক্তব্যে জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তার আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণাই দেননি, যুদ্ধ করেছেন। বাকি সব পালিয়েছেন। আজ ওরা কৃতিত্ব নেন। স্বাধীনতার পর তাদের (আ.লীগের) চিরাচরিত চরিত্র ফুটে ওঠেছে। জিয়া শুধু দেশ স্বাধীনতায়ই ভূমিকা রাখেননি, পরে এই আওয়ামী লীগ কতৃক লুন্ঠিত গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলো। বিএনপি সবসময় দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলনে জয়লাভ করে, এবারও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিবে ইনশাল্লাহ।