খাদ্যে বিষক্রিয়ায় বৃদ্ধের মৃত্যু, পরিবারের আরও ৪ সদস্য হাসপাতালে

মোমিনুর ইসলাম গাংনী উপজেলার শালদহ গ্রামের বাসিন্দা।

খাদ্যে বিষক্রিয়ায় বৃদ্ধের মৃত্যু, পরিবারের আরও ৪ সদস্য হাসপাতালে

প্রথম নিউজ, মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে মোমিনুর ইসলাম (৬০) এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তার পরিবারের আরও চার সদস্য হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বৃদ্ধ মারা যান। মোমিনুর ইসলাম গাংনী উপজেলার শালদহ গ্রামের বাসিন্দা।

স্বজনরা জানান, সোমবার রাতে মোমিনুর ইসলামের পরিবারের লোকজন মাছ ও মাংস দিয়ে ভাত খেয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। মঙ্গলবার ভোরে মোমিনুর ইসলাম ও তার স্ত্রী ছায়েরা বানু (৫৫), ছেলে শামীম রেজা সুমন (৩৮) শামীম রেজা স্ত্রী মমতাজ পারভীন (৩২) ও নাতি গালিব (৬) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের অন্য সদস্যরা তাদের সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মোমিনুর ইসলামের মৃত্যু হয়।

এদিকে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরিবারের লোকজন।অসুস্থ মমতাজ খাতুনের ভাবি গাংনী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, রোগীর অবস্থা খারাপ হলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পেয়ে মোমিনুর ইসলাম মারা গেছেন। তবে কুষ্টিয়া মেডিকেলে ভর্তি চার রোগীর শারীরিক অবস্থা এখন বেশ ভালো।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মারুফ আহম্মেদ  বলেন, ভর্তি হওয়া পাঁচজন গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। বাকি চারজনকে পরিবারের লোকজন গাংনী থেকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিভাবে ধারণা করা হচ্ছে খদ্যে বিষক্রিয়ায় এমনটা হয়েছে।

তবে অবহেলার বিষয়টি সঠিক নয় দাবি করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মারুফ আহম্মেদ বলেন, সারাদিন রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছিল। সন্ধ্যার দিকে মোমিনুর ইসলামের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ইসিজি করানো হয়। এতে তার হার্টের সমস্যা ধরা পড়ে। তখন পরিবারের লোকজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রোগী রেফার প্রক্রিয়ার মধ্যেই মোমিনুর ইসলামের মৃত্যু হয়।