Ad0111

কুড়িগ্রামের আলোচিত সাবেক জেলা প্রশাসকের শাস্তি মওকুফ

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম স্বাক্ষরিত অব্যাহতির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) উপ-সচিব মোছা. সুলতানা পারভীন কুড়িগ্রামের

কুড়িগ্রামের আলোচিত সাবেক জেলা প্রশাসকের শাস্তি মওকুফ
কুড়িগ্রামের আলোচিত সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের ‘লঘুদণ্ড’ মওকুফ

প্রথম নিউজ, রংপুর: কুড়িগ্রামের আলোচিত সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনকে দেয়া ‘লঘুদণ্ড’ মওকুফ করা হয়েছে। একজন সাংবাদিককে হয়রানিমূলকভাবে মধ্যরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনায় তার দুই বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছিল। সেই লঘুদণ্ড বাতিল করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৩ নভেম্বর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ১০ আগস্ট সুলতানাকে দুই বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিতের লঘুদণ্ড দেয়া হয়েছিল।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম স্বাক্ষরিত অব্যাহতির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) উপ-সচিব মোছা. সুলতানা পারভীন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক থাকার সময় বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে ধরে নিয়ে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত বছরের ১৮ মার্চ তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়।

এতে বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা সুলতানা পারভীন গত বছরের ২৫ জুন লিখিত জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানি চান। ওই বছরের ৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত ব্যক্তিগত শুনানিতে তার দেয়া মৌখিক বক্তব্য ও লিখিত জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিভাগীয় মামলাটি তদন্ত করার জন্য তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আলী কদরকে তদন্ত বোর্ডের আহ্বায়ক করা হয়। বোর্ডের দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে মোছা. সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী আনীত ‘অসদাচরণ’র অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, তদন্ত বোর্ডের প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি পর্যালোচনার পর সুলতানা পারভীনকে গুরুদণ্ড দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ এর বিধি ৭(৯) অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ৮ জুন তাকে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। সুলতানা পারভীন ২২ জুন লিখিতভাবে দ্বিতীয় কারণ দর্শানো জবাব দেন। দাখিল করা জবাব ও তদন্ত প্রতিবেদনসহ অভিযোগের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক প্রশাসনিক বিষয়াদি বিবেচনা করে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ এর ৪(২)(খ) বিধি অনুসারে তাকে দুই বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার ‘লঘুদণ্ড’ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

পরে সুলতানা পারভীন লঘুদণ্ড মওকুফের জন্য গত ৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল আবেদন করেন। আবেদন বিবেচনা করে আগের দেয়া ‘দুই বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা’র দণ্ড বাতিল করে রাষ্ট্রপতি তাকে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। লঘুদণ্ড দিয়ে জারি করা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত ১০ আগস্টের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে সুলতানাকে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news