কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুনের দায়ে মামাতো ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
রাজধানীর পল্লবীর শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আখি আক্তারকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে মামাতো ভাই তরিকুল ইসলাম রায়হানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল
প্রথম নিউজ, ঢাকা : রাজধানীর পল্লবীর শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আখি আক্তারকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে মামাতো ভাই তরিকুল ইসলাম রায়হানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি তাকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহারের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে রায়হানকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আসগর স্বপন বিষয়টি জানিয়েছেন।
জানা যায়, আখির মা ও বাবা মরিসাস থাকতেন। আখি তার মামা রোকন খানের বাসায় থেকে পল্লবীর শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজে প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করতেন। আখির বড় মামা নুরুল ইসলামের ছেলে রায়হান স্ত্রী ও বাচ্চাসহ একটি রুমে থাকতেন। ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে আখি কলেজে উদ্দেশে বের হয়ে আর ফেরেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের পাশ থেকে কালো রংয়ের ব্যাগের ভেতর থেকে আখির লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় রায়হানের বাবা নুরুল ইসলাম ঢাকা রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকালে ২০১৮ সালের ২ মার্চ রায়হানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে রায়হান জানায়, ২৩ ফেব্রুয়ারি স্ত্রীকে নিয়ে বাবার বাড়ি ভাষানটেক বেড়াতে যায়। রোকন খানের স্ত্রী রাগ করে নুরুল ইসলামের বাড়িতে যায়। ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টা থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টা পর্যন্ত কেউ রোকন খানের বাসায় ছিল না। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে আখি রায়হানের রুমে যায়। এ সময় রায়হান আখিকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিলে সে তা নাকচ করে এবং সবাইকে বলে দেওয়ার হুমকি দেয়। রায়হান জোর করে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। আখি এ ঘটনা সবাইকে বলে দেবে বলে বারবার বলতে থাকে। পরে রায়হান গলা টিপে আখিকে হত্যা করে।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা রেলওয়ে থানার এসআই আনিছুর রহমান। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: