‘কেউ আমার ছেলেরে আই না দাও, আমার ছেলে আর উড়বে না'

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ শহরের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, ছেলেকে হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বার বার জ্ঞান হরিয়ে ফেলছিলেন মা নিলুফার আক্তার খানম।

‘কেউ আমার ছেলেরে আই না দাও, আমার ছেলে আর উড়বে না'

প্রথম নিউজ, মানিকগঞ্জ: ‘আমার ছেলে আমার অনেক খোঁজ-খবর নিত, যত্ন নিত। এখন কে আমার খোঁজ নেবে। আমাকে নিয়ে বিমানে উড়ার স্বপ্ন দেখত আমার ছেলে। আমার ছেলে আমার বেঁচে থাকার অবলম্বন ছিল। ও আমার স্বপ্ন ছিল। আমার ছেলে আর উড়বে না। কেউ আমার ছেলেরে আই না দাও।’ একমাত্র সন্তান হারিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত পাইলট অসীম জাওয়াদের মা।

স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সুখের সংসার ছিল অসীম জাওয়াদের

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ শহরের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, ছেলেকে হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বার বার জ্ঞান হরিয়ে ফেলছিলেন মা নিলুফার আক্তার খানম। স্বজনরা তাকে নানাভাবে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা দুই পাইলট প্যারাসুট দিয়ে নেমে আসেন। ফায়ার সার্ভিস ও বিমানবাহিনীর নিজস্ব ইউনিটের সদস্যরা তাদের কর্ণফুলী নদী থেকে উদ্ধার করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ মারা যান।

প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ

অসীম জাওয়াদ কয়েক মাস আগে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মানিকগঞ্জে এসেছিলেন। তখন বাবা-মাসহ স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটান। এরপর নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান। অসীম জাওয়াদ ২০১১ সালে বিমানবাহিনীতে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। প্রায় ৮ বছর আগে নারায়ণগঞ্জের মেয়ে অন্তরা আক্তারকে বিয়ে করেন। স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ছিল তার সংসার।