এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন ২ সেপ্টেম্বর, জনসভা করবে আ.লীগ
শনিবার (১২ আগস্ট) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দলটির একাধিক নেতা ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: দেশের প্রথম পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে তৈরি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আগামী ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (পেজ ১) উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ওইদিন রাজধানীতে বড় ধরনের জনসভা করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১২ আগস্ট) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দলটির একাধিক নেতা ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
সভায় অংশ নেওয়া একাধিক নেতা বলেন, আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে একাংশ (বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত) উদ্বোধন করা হবে। সেদিন রাজধানী বড় ধরনের জনসভা করবে আওয়ামী লীগ। কয়েক লাখ নেতাকর্মীকে ওই জনসভায় জড়ো করার টার্গেট রয়েছে। রাজানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে এ জনসভা হতে পারে বলে দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
রাজধানীর কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপ খুলে দেওয়া হলে যানজট অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করছে নগরবাসী। এরই মধ্যেই এই অংশের নির্মাণকাজ ৯৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রকৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ একেবারেই শেষপর্যায়ে রয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে এবং ভ্রমণের সময় ও খরচ হ্রাস পাবে। মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯.৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠা-নামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প রয়েছে। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিলোমিটার।
প্রথম ধাপে কাওলা থেকে বনানী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৭.৪৫ কিলোমিটার। দ্বিতীয় ধাপে বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৫.৮৫ কিলোমিটার এবং তৃতীয় ধাপে মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত বাকিটা।