ইসরায়েল-হামাসের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়াল কাতার
শনিবার (৯ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ তথ্য জানান, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি বা জিম্মি চুক্তি আলোচনা নিয়ে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে আসছিলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। তবে এখন থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কোন কাজ করবে না কাতার। এই দুই পক্ষের সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি, জানিয়েছেন কাতারের কর্মকর্তারা। খবর বিবিসি।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ তথ্য জানান, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে ১০ দিন আগেই এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। কাতার বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের উভয় পক্ষ যুদ্ধ বন্ধের ‘ইচ্ছা ও আন্তরিকতা’ না দেখালে তারা আর মধ্যস্থতা করবে না। এর আগে এক কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছিল যে, হামাস যুদ্ধ বিরতির একটি চুক্তিতে রাজি না হওয়ায় দোহায় তাদেরর রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের সাথে সম্মত হয়েছে কাতার।
তবে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে এসব প্রতিবেদন "ভুল"। এছাড়া হামাসের কর্মকর্তারাও এই দাবি অস্বীকার করেছেন। এছারা বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, দোহায় হামাসের অফিসের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে যোগাযোগের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করা। যেভাবে পূর্বের যুদ্ধবিরতিতে যোগাযোগ করা হয়েছিল। ওবামা প্রশাসনের অনুরোধে ২০১২ সাল থেকে কাতারের রাজধানীতে হামাসের প্রধান কার্যালয় রয়েছে। অন্যদিকে হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাতারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তারা অবগত। তবে তাদের দোহা ছেড়ে যাওয়ার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
ওয়াশিংটনে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন দুই সপ্তাহ আগে কাতারকে জানিয়েছিল, হামাসের দোহা অফিস এখন আর প্রয়োজনীয় নয় এবং সেখানে অবস্থানরত হামাস নেতাদের বের করে দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, জিম্মিদের মুক্তির প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করার পর হামাস নেতাদের আর কোনো মার্কিন মিত্রের রাজধানীতে অভিবাদন পাওয়া উচিত নয়। তবে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
দীর্ঘদিন ধরেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির চেষ্টা করছিল কাতার। কিন্তু এই প্রচেষ্টায় আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ায় দেশটির হতাশা ক্রমশ বাড়ছিল। এছাড়া, ইসরায়েল-হামাস এবং ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাতের অবসানেও কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।