আশুলিয়ায় দুই কারখানায় শ্রমিকদের হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

আশুলিয়ায় দুই কারখানায় শ্রমিকদের হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

প্রথম নিউজ, সাভার : মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সাভারের আশুলিয়ার দুটি কারখানায় ভাঙচুর চালিয়েছেন পোশাক শ্রমিকরা। এসময় তারা দুটি যানবাহনেও ভাঙচুর চালান।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে শ্রমিক আন্দোলনের ৫ম দিনে আশুলিয়ার কাঠগড়া উত্তরপাড়া এলাকার ফ্যাশন গ্লোব গ্রুপের এর আর জিন্স ও নাসা গ্রুপের সেইন অ্যাপারেলস নামের কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ পার্শ্ববর্তী এলাকার আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে কাঠগড়ার উত্তরপাড়া এলাকার ফ্যাশন গ্লোব গ্রুপের এর আর জিন্সে হামলা চালান। এসময় তারা কারখানার শ্রমিকদের বের করে আন্দোলনে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা এ আর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেডের পার্কিং করা একটি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে ভাঙচুর চালান। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এ ব্যাপারে ফ্যাশন গ্লোব গ্রুপের সচিব লিটন বলেন, আমাদের কারখানা স্বাভাবিকভাবে চলছিল। সাড়ে ১০টার দিকে পার্শ্ববর্তী এলাকার আগামী অ্যাপারেলস শ্রমিকরা হঠাৎ করে আমাদের কারখানায় হামলা চালায়। পরে বাধ্য হয়ে শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য আজকের মতো কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

শিল্প পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, আশুলিয়ার পরিস্থিতি সকাল থেকেই ভালো ছিল। কিন্তু ১২টার দিকে আশুলিয়ার কাঠগড়ার আমতলা এলাকায় হঠাৎ করেই দুই থেকে তিন হাজার শ্রমিক জমায়েত হয়। পরে তারা নাসা গ্রুপের সেইন অ্যাপারেলস (Saiin Apparels) কারখানায় ভাঙচুর চালান। শ্রমিকরা কারখানার প্রধান ফটকে ইটপাটকেল ছুড়ে গ্লাস ও সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এদিকে আশুলিয়ায় শ্রমিক আন্দোলনের ৫ম দিনে শিল্পাঞ্চলে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেখা যায়নি। প্রথম তিন দিনের তুলনায় গতকাল থেকে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে সড়কের দুই পাশের অধিকাংশ কারখানা গতকালের জন্য নোটিশ টানিয়ে বন্ধ ঘোষণা করলেও আজও সেসব বন্ধ রয়েছে। 

আশুলিয়া এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজিবির লেফট্যানেন্ট কর্নেল রেজাউল কবির বলেন, আশুলিয়ায় আমাদের ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আজসহ তিন দিন ধরে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। নিয়মিত বিজিবি টহল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সজাগ রয়েছি।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, দুই একটি ঘটনা ছাড়া আজ গতদিনের তুলনায় পরিস্থিতি অনেকটা ভালো রয়েছে। শ্রমিকরা বিভিন্নস্থানে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলেও আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি।