আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেলেন কমালা হ্যারিস

আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেলেন কমালা হ্যারিস

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: আগামী ৫ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে শেষবার শিকাগোয় বসেছে ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশন। বৃহস্পতিবার ছিল সম্মেলনের শেষ দিন। সেখানেই সরকারিভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে দায়িত্ব তুলে দেয়া হলো কমালা হ্যারিসের কাঁধে। আসন্ন নির্বাচনে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। সেই নির্বাচনে জিতে গেলে মার্কিন ইতিহাসে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসাবে বসবেন প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে। নির্বাচনে জিততে পারলে প্রথম নারী হিসাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ারও নজির গড়বেন কমালা হ্যারিস। গুরুদায়িত্ব পাবার পর হ্যারিস বলেছেন, 'প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমেরিকার সকলকে একজোট করব। আরও উন্নত আমেরিকা গড়ে তুলতে লড়াই করব। আজকে সরকারিভাবে আমি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন গ্রহণ করছি।'

হ্যারিস বলেন, ‘আমি জানি, বিভিন্ন রাজনৈতিক মতের মানুষ এই ভাষণ শুনছেন ও দেখছেন। তাদের কাছে আমি একটা কথাই বলতে চাই, আমি সেই প্রেসিডেন্ট হতে চাই, যিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করবেন, তাদের উচ্চাশা পূরণ করবেন। এমন একজন প্রেসিডেন্ট হতে চাই, যিনি নেতৃত্ব দেবেন, যিনি সবার কথা শুনবেন।’

কমলা হ্যারিস প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট হতে পারলে তিনি ইউক্রেন ও ন্যাটোর পাশে শক্তভাবে দাঁড়াবেন। বক্তব্যের মাঝে গাজার প্রসঙ্গ উঠলে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বলেন, 'গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির সময় এসেছে। বন্দিদের মুক্তি দেয়াটা জরুরি। আমি সবসময়ই ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে। কিন্তু গাজায় যা হয়েছে তা ভয়ংকর ও হৃদয়বিদারক। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং আমি এই যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করেছি। আমরা চেয়েছি, ইসরাইল যেন সুরক্ষিত থাকে এবং বন্দিরা যেন মুক্তি পান। ফিলিস্তিনি মানুষরা যেন মর্যাদা, সুরক্ষা, স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারেন।'

মনোনয়ন গ্রহণ করার পরে কমালাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে ওয়াশিংটন পোস্ট-এবিসি নিউজের সমীক্ষা বলছে। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে কমালাই। ৪৯ শতাংশ মানুষ তাকে প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে দেখতে চান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের ঝুলিতে রয়েছে ৪৫ শতাংশ ভোট।  হ্যারিস মার্কিন ভোটদাতাদের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, তারা যেন বিভাজনের রাজনীতিতে সায় না দেন। তিনি দাবি করেছেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে  ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন। ডনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ফিরিয়ে দেয়ার পরিণতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন হ্যারিস। বক্তব্যের মাঝখানে কমালা হ্যারিস তার ‘সাহসী’ মা, শ্যামলা গোপালনকেও স্মরণ করেছেন।  বলেছেন যে তিনি মা-কে প্রতিদিন মিস করেন, বিশেষ করে যখন সামনে কঠিন লড়াই থাকে ।  সূত্র :এনডিটিভি