আন্দোলন করে সরকার হটানোর দিবাস্বপ্ন দেখছে : কাদের

আন্দোলন করে সরকার হটানোর দিবাস্বপ্ন দেখছে : কাদের

প্রথম নিউজ, ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, দেশে শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো নেতা নেই। 

একইসঙ্গে বিএনপির পরর্বতী নেতা কে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, বিএনপিতে পরবর্তী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীকে? এর জবাব যদি টেমস নদীর পাড়ে চলে যায়, তা দেশের মানুষ কোনো দিনও গ্রহণ করবে না। আমি বিএনপিকে প্রশ্ন করতে চাই আগামী নির্বাচনে আপনাদের লিডার কে? আন্দোলনে আপনাদের লিডার কে? কাকে ঘিরে আন্দোলন করবেন? কাকে ঘিরে সরকার গঠন করবেন? 

আজ সোমবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ  আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের লিডার হচ্ছে শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার বিকল্প একজন নেতা আপনাদের দেখান। একজনকে দেখাবেন পলাতক দন্ডিত আসামী। দন্ডিত পলাতক এক ব্যক্তি তিনিই আপনাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। এটা কি বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে। এটা কি শেখ হাসিনার বিকল্প হতে পারে। মানুষ এত বোকা নয়। বিএনপিকে ভোট দিয়ে লাভ নেই।

তিনি বলেন, আগামী বছর যখন মেগা প্রকল্পগুলো একে-একে উদ্ভোধন হবে, বিএনপি চোখে সর্ষে ফুল দেখবে। বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতি বড় জটিল। মানুষ এখন উন্নয়ন চায়। মানুষ এখন চরিত্রবান লোক ক্ষমতায় দেখতে চায়। সেই মানুষ একমাত্র শেখ হাসিনা। তার মত সৎ ব্যক্তি যিনি বিশ্বে প্রথম সারির তিনজনের একজন।  

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, একটা রাজনৈতিক দল আজকে ক্ষমতার খোয়াব দেখছে। কথায় কথায় আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে। আন্দোলন করে সরকার হটাবে এ দিবাস্বপ্ন দেখছে। আগামী নির্বাচন আসছে, এখনই শুরু হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। আবারও শুরু হয়েছে সেই খেলা, বিবৃতি দেখছি, বক্তব্য দেখছি। 

সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৩ বছর ধরে তো বহু চেষ্টা করলেন সরকার হটাতে। আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ালেন, ভূমি অফিস পোড়ালেন, রাস্তা-ঘাট ধ্বংস করলেন, হাজার-হাজার গাছ কাটলেন, কি পেলেন? আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। আগুন সন্ত্রাস আপনাদের আরও পিছিয়ে দিয়েছে। সিরিজ বৈঠকের নামে যদি এ ধরনের সহিংস আন্দোলনের ছক করেন, তাহলে আবারও পিছিয়ে যাবেন। বিএনপি আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য বিভিন্ন দলকে ডাক দিয়েছে। গতবারও ড.  কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্য হয়েছে। সেই ঐক্যের রেজাল্ট তো দেশের মানুষ দেখেছে। 

আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটি চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ড. মির্জা আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে দলটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম।