অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন তামিম ইকবাল

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নিলেন তামিম।

অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন তামিম ইকবাল

প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে ফরম্যাটের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন তামিম ইকবাল খান। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নিলেন তামিম। গত মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের মাঝপথে আকস্মিক অবসরের ঘোষণা দেন তামিম। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে ২৯ ঘণ্টার ব্যবধানে ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। সেই ঘটনার দেড় মাস পর নিজের ব্যাটিং ও ফিটনেসে মনোযোগ দিতে অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন এই টাইগার ওপেনার।

অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়ে তামিম বলেন, ‘দলের স্বার্থে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছি। এখন ভালো খেলায় মনোযোগ দেবো। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। পুরো ব্যাপারটা জানিয়েছি উনাকে। উনি আমার ব্যাপারটা বুঝেছেন। এরপরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তামিম পদত্যাগ করলেও আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করবেন কে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি। এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি পাপন বলেছন, ‘সবার সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তামিম শুধু এশিয়া কাপে না খেললে সহ–অধিনায়ক লিটন দাসই অধিনায়ক হতেন। এখন যেহেতু তামিম অধিনায়কত্বই ছেড়ে দিয়েছেন, ব্যাপারটা আর সরল নেই। নতুন অধিনায়ক শুধু এশিয়া কাপ নয়, বিশ্বকাপেও নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশকে।’ দীর্ঘদিন ধরে কোমরের চোটে ভুগছেন তামিম। সম্প্রতি লন্ডন ও দুবাই গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে এসেছেন তিনি। প্রথমে তার অস্ত্রোপচারের কথা থাকলেও, ৩-৪ মাসের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কায় ইনজেকশন নিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন তামিম। এই চোটই নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে বলে জানান তামিম। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বৈঠকে বসেই শেখ হাসিনাকে জানান তিনি। 

তামিম বলেন, 'ইনজুরি একটা ইস্যু। আমি ইনজেকশন দিয়ে এসেছি (লন্ডন থেকে)। কিন্তু ইনজেকশনটাও কিন্তু হিট অ্যান্ড মিসের মতো। আমার কাছে মনে হয়, দলের জন্য... সবসময়ই একটা কথা বলে এসেছি, সবকিছুর ওপরে আমি সবসময়ই দলের কথাই ভাবি। আমার মনে হয়, দলের কথা চিন্তা করে আমার সরে যাওয়াটাই হবে সবচেয়ে ভালো। আমরা একসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি আজকে। আমার ম্যাসেজটা উনাকে দিয়েছি। উনিও বুঝেছেন এবং যা বলার আমাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেছেন।'