৬ গোলের রোমাঞ্চে থামল বার্সা-ইন্টার থ্রিলার

প্রথম নিউজ, অনলাইন: অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ঢল নেমেছিল দর্শকের। ৫০ হাজার ৩১৪ জন চিৎকার-উল্লাসে মাতোয়ারা ছিল গ্যালারি, যা এবারের মৌসুমে রেকর্ড। বার্সেলোনা অবশ্য হতাশ করেননি, চোখে চোখ রেখে লড়েছে ইন্টার মিলানও। ৬ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে যদিও কেউ জেতেনি। ৩-৩ গোলের রুদ্ধশ্বাস ড্র’তে শেষ হয়েছে দুই দেশের দুই শীর্ষ বার্সা-ইন্টারের সেমিফাইনালের প্রথম লেগ।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারের লড়াইয়ে ইন্টারের হয়ে জোড়া গোল করেছেন ডেঞ্জাল ডামফ্রিস। অপর গোলটি করেন মার্কাস থুরাম। বার্সেলোনার হয়ে একটি করে গোল করেছেন লামিনে ইয়ামাল ও ফেরান তোরেস। অপর গোলটি আসে আত্মঘাতীর সুবাদে। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে এত বেশি গোলের ড্র ম্যাচের দেখা মিলল ১৯৯৯ সালের পর প্রথমবার।
ঘড়ির কাঁটায় তখন ৩০ সেকেন্ড। ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিলে মার্কাস থুরাম বল জড়ান বার্সার জালে। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে দ্রুততম গোল! এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা। রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক ইয়ান সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে। ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।
এখন ফাইনালে ওঠা নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর। যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে। ৬ গোলের থ্রিলার শেষে বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক বলেছেন, ‘আমাদের এখন মিলানে জিততেই হবে (দ্বিতীয় লেগ)। এটা ফাইনালের আগের ফাইনাল।’