১৯ মাস পর খুললো দিল্লির স্কুল
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : দীর্ঘ ১৯ মাস পর ভারতের রাজধানী দিল্লির স্কুলগুলো পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অনেকেই স্কুল খোলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। এক বছরের বেশি সময় পর অবশেষে স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হলো।
১৪ বছর বয়সী দিল্লির বাসিন্দা কায়নাত হাবিবি বহুদিন পর স্কুলে আসতে পেরে বেশ আনন্দিত। সে রাজধানী দিল্লির একটি স্কুলে পড়ছে। অনেকদিন পর বন্ধুদের সঙ্গে ক্লাস করছে সে।
তবে স্কুলে আসতে পারলেও আগের মতো শিশুরা একে অন্যের সঙ্গে হাত মেলানো বা গলা ধরে ক্লাস করতে পারছে না। সবাইকে মুখে মাস্ক পরে ক্লাসে বসতে হয়েছে। সোমবার রাজধানী দিল্লির মালভিয়া নগরের একটি স্কুলে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
আল জাজিরাকে হাবিবি বলছে, স্কুলে আসার জন্য আমরা অনেকদিন ধরেই অপেক্ষা করে আছি। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়াটা সত্যিই খুব আনন্দের।
দিল্লি ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (ডিডিএমএ) গত সপ্তাহে ঘোষণা দেয় যে, ১ নভেম্বর থেকে বেশ কিছু শর্ত মেনে দিল্লির স্কুলের সব ক্লাস পুনরায় চালু হবে। তবে কোনো ক্লাসে উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি রাখা যাবে না। একই সঙ্গে বাবা-মা জোর করে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারবেন না বলেও জানানো হয়।
স্কুলগুলোকে তাদের সব স্টাফদের ভ্যাকসিন নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছরের মার্চে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দিল্লির সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে উপরের ক্লাসের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় এপ্রিলে আবারও স্কুলগুলো বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তীতে সেপ্টেম্বরে আবারও ওপরের ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ক্লাস পুনরায় চালু হয়। কিন্তু সে সময় ছোট ক্লাসের শিশুদের জন্য কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
হাবিবি এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, অনলাইনে তাদের ক্লাস করতে ভালো লাগতো না। এর চেয়ে বিধিনিষেধ মেনে সশরীরে বন্ধুদের সঙ্গে ক্লাস করতে চায় তারা।
ক্লাসে শিশুদের খুব মনযোগী থাকতে দেখা গেছে এবং তারা পড়াশোনার বিষয়েও বেশ আগ্রহী ছিল। কিন্তু অনলাইনে ক্লাসের সময় এমনটা দেখা যায় না।
রাজধানীতে সংক্রমণ কিছুটা কমতে শুরু করায় স্কুল পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৮৩০। দেশটিতে মোট সংক্রমণ ৩ কোটির বেশি এবং মারা গেছে ৪ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: