সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে গণমুক্তি জোটের চার দাবি

সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে গণমুক্তি জোটের চার দাবি

প্রথম নিউজ, ঢাকা : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে চার দফা দাবি জানিয়েছে গণমুক্তি জোট।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণমুক্তি জোট আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সরকার বলছে সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে, কিন্তু গত দুটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় সে কথা কেউ বিশ্বাস করে না। বিগত ৫২ বছরে কোনও শাসক দলই স্বাধীনতার অঙ্গীকার-সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। উল্টো দুর্নীতি, বৈষম্য, মতপ্রকাশে বাধা, টাকা পাচার, ভোট ডাকাতি ও সন্ত্রাস কায়েম করেছে। সে কারণে বড় দুই দলকে ফ্যাসিস্ট আখ্যায়িত করে বর্জন করতে হবে এবং বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।

তারা বলেন, বর্তমানে ওইসব দল নিজেরা ঐক্যবদ্ধ না হয়ে কথিত ফ্যাসিস্ট দল দুটিকেই ক্ষমতায় রাখতে বা ক্ষমতাসীন করতে শান্তি সমাবেশ বা যুগপৎ কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে। আরও দেখা যায়, নির্বাচিত সরকারের অধীনে ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছে, আবার ২০১৮ সালে নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এসব কারণে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। আন্দোলনের সুফল পাওয়া যায় না। নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় একদিকে যেমন সরকার ফাঁকা মাঠে গোল দিয়েছে, অন্যদিকে আরও বেশি কর্তৃত্বপরায়ণ হয়েছে।

সভায় জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে গণমুক্তি জোট ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রার্থী দেবে। তবে অবশ্যই সে নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক।

জোটের চার দফা দাবি হলো–

তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, মন্ত্রীসভা ছোট করতে হবে এবং মন্ত্রীসভায় বিরোধী দলগুলোর প্রতিনিধি যুক্ত করতে হবে, স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনতে হবে, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে আইন সংশোধন করতে হবে।

সভায় ছিলেন– গণমুক্তির জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, প্রধান মুখপাত্র কাসেম মাসুদ, প্রধান উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস, প্রধান সমন্বয়ক আবু লায়েস মুন্না, কো-চেয়ারম্যান ড. এ আর খান, আখতার হোসেন, সমন্বয়ক আমিনা খাতুন, রাজু আহমেদসহ জোটের অন্যান্য সদস্যরা।