সারাদেশে ২০০ পেডি সাইলো নির্মাণ করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রবি মৌসুমের কৃষি প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সারাদেশে ২০০ পেডি সাইলো নির্মাণ করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী

প্রথম নিউজ, নওগাঁ: কৃষকেরা কৃষির উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাচ্ছেন। কৃষি প্রণোদনা দিয়ে সরকারও কৃষকের পাশে আছেন। সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে কৃষকের ভূমিকা অনেক বেশি। কৃষক যেন সহজে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারে তার জন্য স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। মজুত ক্ষমতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে আরও ২০০ পেডি সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রবি মৌসুমের কৃষি প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার শুধু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য নয়, পিছিয়ে পড়া সব জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় নানারকম ভাতা দিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এতে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক সমাজ বিষয়টি অনুধাবন করে উৎপাদন বাড়াতে মনোযোগী হয়েছে। আমাদের ফসল উৎপাদন বহুগুণ বেড়েছে বলেই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। দেশে সারের অভাব নেই, পর্যাপ্ত সার মজুত আছে। সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকার সার আমদানিতে ৪৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে।

পোরশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তারের সভাপতিত্বে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গাজীবুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম এবং নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এবছর রবি প্রণোদনার আওতায় পোরশা উপজেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারি ফসলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। আজ পাঁচ হাজার ৭২০ কৃষকের মধ্যে তিন হাজার ২১০ কেজি বীজ ষাট হাজার কেজি ডিএপি সার ও ৫৫ হাজার ৫০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়। বীজ ও সারের আনুমানিক মূল্য ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩০০ টাকা।

এরপর মন্ত্রী সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৬৬৬ পরিবারের মধ্যে ১৩ হাজার ৩২০টি মুরগি বিতরণ করেন।