সরকারি কর্মচারীদের চিকিৎসায় অনুদান মঞ্জুরির হার নির্ধারণ
সাময়িকভাবে এ হার নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্টদের কাছে নির্দেশনা সংবলিত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
প্রথম নিউজ, ঢাকা : সরকারি কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসায় অনুদান মঞ্জুরির ক্ষেত্রে হার নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড। সাময়িকভাবে এ হার নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্টদের কাছে নির্দেশনা সংবলিত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বোর্ডের মহাপরিচালক (সচিব) ড. নাহিদ রশীদের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের কল্যাণ তহবিল থেকে সরকারি ও বোর্ডের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী এবং তাদের পরিবারবর্গের সাধারণ চিকিৎসায় অনুদান দেওয়া হয়।
লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, অনুদান মঞ্জুরি করার ক্ষেত্রে প্রধান কার্যালয় ও বিভাগীয় কার্যালয়ে অনুসৃত পদ্ধতি সমান হচ্ছে না। আবার কোনো কোনো বিভাগীয় কার্যালয়ে সহায়ক স্টাফ হিসেবে একই কর্মকর্তা/কর্মচারীকে দীর্ঘদিন যাবত চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে সম্পৃক্ত রাখা হচ্ছে, যা কাঙ্ক্ষিত নয়। অনুদান মঞ্জুরির ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে নিম্নবর্ণিত রোগভিত্তিক অর্থের হার নির্ধারণ করা যায় :
কিডনি ও ডায়ালাইসিস, ক্যান্সার, থেলাসোমিয়া, হৃদরোগ, স্ট্রোক/লিভার সিরোসিস/পিএলআইডির ক্ষেত্রে ৪০ হাজার, সিজার অপারেশন/জরায়ু অপারেশন/মূত্রনালী অপারেশন/পাইলস অপারেশন/ হারনিয়া অপারেশনের ক্ষেত্রে ২৫ হাজার, অ্যাজমা/ নিউমোনিয়া/ডায়াবেটিস মেলিটাস/চোখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ হাজার, সর্দি, জ্বর, কাশি/বাতজ্বরের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ হাজার।
চিঠিতে জানানো হয়, অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে রোগের ধরন ও খরচের প্রকৃতি অনুযায়ী কমিটি অর্থমঞ্জুরি প্রদান করবে। অনুদান মঞ্জুরির এ হার বাস্তবতার নিরিখে সময়-সময় পরিবর্তিতও হতে পারে।
এতে আর বলা হয়, মাসিকভিত্তিতে পাওয়া আবেদনগুলো সহায়ক কর্মকর্তা প্রাথমিকভাবে যাচাই করে পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বাছাই কমিটির সভা অনুষ্ঠান, দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে উপকমিটির সভা অনুষ্ঠান এবং উপকমিটির সভা অনুষ্ঠানের তিন কার্যদিবসের মধ্যে ইএফটির তালিকা ব্যাংকে প্রেরণ নিশ্চিত করে প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করার অনুশাসন প্রদান করা হলো।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: