সরকারের পতন ঘটাতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : গয়েশ্বর

সরকারের পতন ঘটাতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : গয়েশ্বর

প্রথম নিউজ ঢাকা: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী যুবদলের ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আপনাদের (যুবদল) কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বক্তব্য শুনে আমার ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে একটা কিছু হবে। কিন্তু বক্তব্যে তো কোনো সরকার যায় না। এই সরকারের পতন ঘটাতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে।’
প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যুবদলের ঢাকা বিভাগীয় সহসভাপতি রেজাউল কবির পলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন—সংগঠনের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী, বিএনপি নেতা তমিজউদ্দিনসহ অনেকে।
যুবদলের নেতাদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘আপনাদের অনেক সাংগঠনিক দুর্বলতা বিরাজমান। কর্মীদের মাঝে সাহস আছে, কিছু করার ইচ্ছা আছে—কিন্তু সংগঠিত না। আপনারা প্রত্যেকটি জেলা-থানাকে সাংগঠনিক পূর্ণাঙ্গ রূপ দিয়ে দেন, লোকের অভাব নেই। সবাইকে খুশি করতে পারবেন না। এক চেয়ারে দশজন বসতে চাইবে—সেটা অন্য কথা। কিন্তু সবাইকে সন্তুষ্ট করে সংগঠনকে ছিকায় তুলে রাখলে লাভ হবে না।’

তিনি আরও বলেন, যুব শক্তি বড় শক্তি। ছাত্র শক্তি যেহেতু ক্যাম্পাসে থাকতে পারে না, সে কারণে যুব শক্তিকে অভাব পূরণ করতে হবে। পাড়া-মহল্লায় যে যুব শক্তি রয়েছে তাদের সংগঠনের আওতায় এনে দায়িত্ব দেন।
প্রতিষ্ঠা থেকে ২৩ বছর যুবদলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করা গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘পায়ে হেঁটে হেঁটে সংগঠন করেছি। কখনো কখনো বাস, ট্রাক, এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গেছি। নিজের গাড়িতে চড়ার কোনো সুযোগ হয়নি। শুধু আমি-ই না; আমাদের দশজন নেতারও গাড়ি ছিল না। আজকে এখানে এত গাড়ি, তখন গাড়ি ছিল না।’
যুবদলের এই সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যত হাঁটবেন তত কর্মী বাড়বে। নেতা হাঁটলে কর্মীরা পালিয়ে যায় না। এতে নেতার ওপর আস্থা বাড়ে। কর্মীদের সঙ্গে আদর্শের সম্পর্ক, রক্তের সম্পর্ক নয়। রক্ত লাগলে সবার আগে আদর্শিক কর্মীরাই এগিয়ে আসবে। তাই বলব, সরকারের পতন ঘটাতে হলে রাজপথ থেকে কর্মী সংগ্রহ করে সংগঠনের দায়িত্ব দিতে হবে। আপনাদের শক্তি আছে, সাহস আছে, একটু সংগঠিত করেন।
‘বছর বছর যুব শক্তিকে বসিয়ে রাখলে তারা হতাশ হবে। তারা যেমন অবদান রাখে, তেমনি তারা অবদানের স্বীকৃতিও আশা করে। তা না হলে তারা কেন জীবন দেবে।’
যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন যুবসমাজ রাজপথে আছে রাজপথে থাকবে। নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হবে না হতে দেয়া হবে না। এ সরকারকে বিদায় করে নির্বাচন হলে আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ারও মুক্তি মিলবে।