সরকারকে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে: এবি পার্টি

আজ বুধবার কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বরে বছরে ৪ বার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা একথা বলেন।

সরকারকে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে: এবি পার্টি

প্রথম নিউজ, অনলাইন: 'কুইকরেন্টাল পদ্ধতিতে কোনো রকম বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বছরের পর বছর ধরে দলীয় সিন্ডিকেটকে অর্থায়ন করে যাচ্ছে সরকার। এমনকি আমদানি চুক্তি করেও যেখানে কোনো বিদ্যুৎ না পেয়েও সরকার আদানি গ্রুপকে টাকা দিয়ে যাচ্ছে। আর বিদ্যুৎ খাতের এই সমস্ত অর্থ প্রদান করা হচ্ছে ডলারে যার বেশির ভাগ ডলারই পাঁচার হয়ে গেছে বিদেশে।' আজ বুধবার কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বরে বছরে ৪ বার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা একথা বলেন।

এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বি এম নাজমুল হকের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এ বি এম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এবি পার্টির নেতারা বলেন, বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি দেশের পুরো অর্থ ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের টাকা লুট করে দিনের পর দিন নাগরিকদের লোড শেডিংয়ের যন্ত্রণায় দুর্বিষহ জীবন যাপনে বাধ্য করেছে সরকার। বিদ্যুৎ খেকো এই সরকারকে এর জন্য করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকদের ট্যাক্সের টাকায় এই লুটেরা সরকারের নেতা-পাতি নেতারা মৌজ-মাস্তি করে বেড়াচ্ছে। অথচ দেশের মানুষ খাবার কিনতে পারছে না। দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে মানুষের জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে। এই সরকারের প্রতিটা কর্মকর্তা কর্মচারী আজ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। পিয়ন থেকে শুরু করে সচিব, মন্ত্রীরা পর্যন্ত জনগণের ঘাম ঝরানো টাকা লুট করে খাচ্ছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, সরকার বলে দেশ নাকি বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তারা নাকি চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত উৎপাদন করছে। ঘরে ঘরে নাকি উনি বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। এতই যদি বিদ্যুৎ থাকে তাহলে আজ অটোরিকশা কেন বন্ধ করা হচ্ছে, চালকদের কেন পুলিশ দিয়ে পেটানো হচ্ছে। এই দুর্নীতিবাজ সরকার জনগণের কাছ থেকে ত্রিশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের দাম আদায় করে ১৪ হাজার মেগাওয়াট জনগণকে সাপ্লাই দিয়ে বাকি বিদ্যুতের দাম ডলারে পরিশোধ করে জনগণকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, লুটপাট করে ব্যাংকগুলোকে আজ শূন্য করে ফেলা হয়েছে। জনগণ এখন ব্যাংকে গিয়ে নিজের গচ্ছিত টাকা তুলতে পারছে না। আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার স্বার্থে বিভিন্ন বাহিনীর লোকদের, আমলাদের দুর্নীতি করার অবাধ সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এক আইজিপি চুরি করে একটা জেলার মালিক বনে গিয়ে আমেরিকার স্যাংশনের আওতায় ছিল, এখন আবার এক সাবেক জেনারেলকে আমেরিকা চুরির দায়ে স্যাংশন দিয়েছে। এই চোরদের বদৌলতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে আছে।


মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আমরা আগেও বলেছি গণতান্ত্রিক শক্তিকে নির্মূল করলে অগণতান্ত্রিক চরমপন্থী শক্তি হবে এই সরকারের প্রতিপক্ষ। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি বিরোধী দলের আন্দোলন ছাড়াই সরকার ভেতর থেকে ভেঙে পড়ছে। ব্যাংক গুলো দেউলিয়া হয়ে গেছে, মানুষ তার জমা টাকা তুলতে পারছে না।

বিক্ষোভে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, যুবপার্টির সদস্যসচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, যুগ্ম সদস্যসচিব হাদিউজ্জামান খোকন, মাসুদ জমাদ্দার রানা, এবি পার্টি  ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, আহমেদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু,  ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, যুবপার্টি মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুলতানা রাজিয়া, মশিউর রহমান মিলু, সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, রুনা হোসাইন, এনামুল হক, মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুর রব জামিল, সাবের চৌধুরী, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএমএইচ আরিফ, পল্টন থানা সদস্যসচিব আব্দুল ওয়াদুদ মোল্লা রনিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।