শিশু আব্দুল্লাহ হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল

ঢাকার কেরানীগঞ্জে শিশু আবদুল্লাহ (১১) হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতে দেওয়া আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট

শিশু আব্দুল্লাহ হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম নিউজ, ঢাকা : ঢাকার কেরানীগঞ্জে শিশু আবদুল্লাহ (১১) হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতে দেওয়া আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে শিশু আইনে ১০ বছরের দণ্ডিত আসামির পুনর্বিচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এক বছরের দণ্ডিত আসামি মিতু আক্তারকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার আসামির ডেথ রেফারেন্স ও দুই আসামির আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।


আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.মনিরুল ইসলাম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো.রবিউল ইসলাম, আয়েশা আক্তার ও মো.সাফায়েত জামিল।

আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো.আতিকুল ইসলাম সেলিম। পলাতক আসামির পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম।

জানা যায়, কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচর গ্রামের পশ্চিম মুগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মো. আবদুল্লাহ (১১) ২০১৬ সালের ২৯ জানুয়ারি দুপুরে নিখোঁজ হয়। ওইদিনই তাকে আসামিরা তাদের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহ প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা হয়।

এর আগে মোবাইলে আবদুল্লাহকে অপহরণের দাবি করে দুই দফায় দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ নেয় অপহরণকারীরা।

একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি নিহতের বাড়ির মাত্র ১০০ গজ পশ্চিমে আসামি মোতাহার হোসেনের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা আবদুল্লাহ’র গলিত মরদেহ উদ্ধার হয়। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার মূল আসামি মোতাহার হোসেন র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

এ মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের ১৪ জুন ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল খোরশেদ আলমকে (পলাতক) মুত্যুদণ্ড দেন। একজনকে শিশু আইনে ১০ বছর এবং মিতু আক্তারকে এক বছরের দণ্ড দেন।

এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। আর পাশাপাশি আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.মনিরুল ইসলাম জানান, আসামি খোরশেদ আলমের দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আর ১ বছরের দণ্ডিত মিতু আক্তারকে খালাস দিয়েছেন। অপরদিকে ১০ বছরের দণ্ডিত শিশু আসামিকে শিশু আইনে সাজা দিলেও তার বিচার আলাদা করে শিশু আদালতে হয়নি। এ কারণে তার বিষয়ে শিশু আদালতে পুনরায় বিচার করার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।