র্যাবকে ধ্বংস করে এখন পুলিশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: রিজভী
তিনি বলেন, আজ আমাদের সামাজিক অবস্থা এত ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে কারো কোন নিরাপত্তা নাই। কেউ স্বাভাবিকভাবে নিরাপত্তার মধ্যে জীবন যাপন করতে পারে না।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: সরকার র্যাবকে শেষ করে ফেলেছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, র্যাবকে ধ্বংস করে এখন পুলিশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি বলেন, সরকার র্যাবের ভাবমূর্তি শেষ করে দিয়েছে। বিএনপি'র আমলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া র্যাব গঠন করেছিলেন দেশের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার জন্য। এই র্যাবকে কখনোই রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা হয়নি। আজকে র্যাব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবতাবিরোধী বেআইনি সংগঠন হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির উদ্দোগে নয়াপল্টনে দিনব্যাপি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, র্যাবের সে সকল কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাদেরকে আবার এই সরকার পুলিশে নিয়ে এসেছে। তারা এখন পুলিশের নেতৃত্ব দিচ্ছে। র্যাবের ইমেজকে সম্পন্ন ক্ষুন্ন করে এখন পুলিশের নেতৃত্ব দিচ্ছে। পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে। বর্তমান পুলিশকে ও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়। মানুষ কোন সমস্যায় পড়লে পুলিশের কাছে যায়। সেই পুলিশের নূন্যতম মর্যাদা যোটুকু আছে সেটুকু ক্ষুন্ন করার জন্য বিতর্কিত লোকদেরকে এখানে নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, আজ আমাদের সামাজিক অবস্থা এত ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে কারো কোন নিরাপত্তা নাই। কেউ স্বাভাবিকভাবে নিরাপত্তার মধ্যে জীবন যাপন করতে পারে না। যেখানে গণতন্ত্র নাই জবাবদিহিতা নাই সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? রিজভী বলেন, আজ যদি দেশে গণতন্ত্র ,ভোটার অধিকার থাকতো তাহলে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকতো। আর সেই নেত্রীকে চিকিৎসা না দিয়ে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে। তার মুক্তি তো দূরে থাক।
তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে গঠনমূলক রাজনীতি। বিএনপি যেমন বারবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করেছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়েছে। তেমনি মানব সেবার জন্য কাজ করেছে। বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা তিনি মানব সেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে জাতিকে গঠন করার জন্য একের পর এক কর্মসূচি দিয়েছিলেন। তিনি জিয়াউর রহমান হালখাতা কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। গ্রামের মানুষ যাতে চিকিৎসা পায় তার জন্য পল্লী চিকিৎসকের ব্যবস্থা করেছিলেন। হাজার হাজার পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ করেছিলেন।
নি আরও বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একটি স্লোগান দিয়েছে বাংলাদেশকে উদ্ধার করতে হবে। তাই আমাদেরকে সকলেই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশকে উদ্ধার করার জন্য রাস্তায় নামতে হবে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: