রাজধানী জুড়ে তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে নগরবাসী
আজ মঙ্গলবার ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে জড়ো হয়েছেন আলেম-ওলামা ও জনতা।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শাহবাগে যাবেন মো. ইসমাইল হোসেন। সকাল ১০টায় বাসের জন্য ওই মোড়ে দাঁড়ান। কিন্তু সেখানে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করেও বাসে উঠতে পারেননি। কারণ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে বাংলামোটর পুরো রাস্তাজুড়ে তীব্র যানজট। এছাড়াও সংসদ ভবনের সামনের রাস্তা, কারওয়ান বাজার থেকে বাংলামোটর রাস্তার পাশে রাখা হয়েছে সারি সারি বাস। এতে করে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে পুরো এলাকাজুড়ে। ফলে অফিসগামী যাত্রীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। যানজট বেশি হওয়ার কারণে অনেকেই বাধ্য হয়ে হেঁটেই গন্তব্যে ছুটছেন।
জানা গেছে, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে ইসলামি মহাসম্মেলন। এই মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে জড়ো হয়েছেন আলেম-ওলামা ও জনতা। সম্মেলনে অংশ নিতে তারা ঢাকার বাইরে থেকে বাস নিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করেছেন। সেই বাসগুলো রাখা হয়েছে রাস্তার উপরে। এতে রাজধানীজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। বেলা যতিই গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে যানজট। বিশেষ করে সংসদ ভবন থেকে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও বাংলামোটর গামী যাত্রীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন।
গাবলতী বাসের চালক বলেন, ‘আসাদ অ্যাভিনিউ থেকে বাংলামোটর আসতে সময় লেগেছে ১ ঘন্টা। অথচ এই রাস্তা আসতে সময় লাগে ২০ মিনিট। কিছুদিন কিছুদিন পর বিভিন্ন সমাবেশ ও রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটে। এতে আমাদেরসহ যাত্রীদের ভোগান্তি হয়। তাই সরকারের উচিত বিষয়গুলোর দিকে নজর দেওয়া। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো সড়কে গাড়ি রাখা হয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তীব্র ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তারা এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও পেজে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কারওয়ান বাজার ও মগবাজার এলাকায় দুই বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, ‘তারা প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিক সময়ে বের হয়েছিলেন। কিন্তু যানজটে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন। সম্মেলনের বিষয়টি আগে জানতেন না। জানলে সময় নিয়ে বের হতেন। এখন হেঁটে অফিসে যেতে হচ্ছে তাদের।’
জানা গেছে, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ইসলামী মহাসম্মেলন শুরু হয়েছে। এতে যোগ দিতে রাত থেকে জমায়েত হয়েছেন আলেম-ওলামারা। দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দ্বিনের হেফাজতের লক্ষ্যে এ সম্মেলন করা হচ্ছে।আজ মঙ্গলবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশে ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানেও আলেম ওলামাদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তারা সমাবেশে এসেছেন।