রাজধানীর কোনো মাঠ অবৈধ দখলে থাকবে না : মেয়র আতিক
প্রথম নিউজ, ঢাকা : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বনানীতে দুটি মাঠে ক্ষমতাবান বড়লোকরা চেয়েছিলেন তাদের গাড়ি রাখার জন্য পার্কিং হবে। কিন্তু আমি সেটি হতে না দিয়ে খেলার মাঠ নির্মাণ করে দিয়েছি। কোনো মাঠ অবৈধ দখল থাকলে আমাকে জানাও যুবকদের সঙ্গে নিয়ে দখলমুক্ত করব।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর বিজয় সরণি বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে দ্য আর্থ এবং ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, গুলশান বারিধারায় ধনী লোকেরা বসবাস করে। তারা তাদের বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে দিয়ে খাল দূষণ করছে। আমরা অভিযান চালিয়ে অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। অ্যাট সোর্সে পয়োবর্জ্যের ব্যবস্থা না করলে শহর পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব না। সবাইকে সচেতন হতে হবে, শহরকে ভালোবাসতে হবে।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আমাদের সিটি কর্পোরেশনের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। ডিএনসিসি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অনেকগুলো লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ঢাকায় একসময় ৬৩টি খাল ছিল। আমরা গত দুই বছর আগে ওয়াসা থেকে মাত্র ২৯টি খাল বুঝে পেয়েছি, সেগুলোও অবৈধ দখলে। ঢাকা শহরে প্রতি বর্গ প্রায় ৪৯ হাজার মানুষের বসবাস। যদি আমরা প্রশ্ন করি এতো নাগরিকের মধ্যে আসলে সুনাগরিক কতজন। নগরের জন্য সুনাগরিকের বিকল্প নেই।
শহরের সমস্যা সমাধানে যুব-সমাজকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি চাই আমাদের যুব-সমাজ প্রত্যেকে একেকজন মেয়রের ভূমিকা রাখবে। শহরের কোথাও সমস্যা দেখলে সিটি কর্পোরেশনকে জানাও। আমাদের সবার ঢাকা অ্যাপে অভিযোগ জানাও। কথা দিচ্ছি দ্রুত সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছুদিন আগে কয়েকজন যুবক মিলে মোহাম্মদপুরে খালের ময়লা পরিষ্কার করে ফেলেছে। যুবকরা দেখিয়ে দিয়েছে খালে মাছ চাষ হবে, খাল দখলমুক্ত হবে। অসাধারণ উদ্যোগ। তরুণরা এভাবে এগিয়ে আসো। তোমরা আমার সাথে থাকলে এই শহরের সকল খাল মাঠ অবৈধ দখল ও দূষণমুক্ত করব ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে লাল সবুজের পতাকা এনে দিতে তরুণরাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল। আমি নিশ্চিত তরুণরা এগিয়ে আসলে এই দেশ চেঞ্জ হবে, এই শহর চেঞ্জ হবে। তাই শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান করছি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। বাঙালিকে দাবায়ে রাখা যায়নি। তরুণরা দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসলে আজও দাবায়ে রাখা যাবে না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সদস্য ও সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি কো-অর্ডিনেটর মো. আখতার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, দ্য আর্থের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মামুন মিয়া প্রমুখ।