‘যৌথ সামরিক মহড়া পারমাণবিক যুদ্ধের শঙ্কা বাড়াচ্ছে’

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ একটি মন্তব্য প্রকাশ করেছে। তাতে কোরিয়ান দ্বীপাঞ্চলে উত্তেজনা বিস্ফোরণোন্মুখ রয়েছে বলে এর কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।

‘যৌথ সামরিক মহড়া পারমাণবিক যুদ্ধের শঙ্কা বাড়াচ্ছে’
‘যৌথ সামরিক মহড়া পারমাণবিক যুদ্ধের শঙ্কা বাড়াচ্ছে’

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: যৌথ সামরিক মহড়ার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া উত্তেজনাকে বৃদ্ধি করে চলেছে। এর মধ্য দিয়ে তারা উত্তেজনাকে পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়া। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ একটি মন্তব্য প্রকাশ করেছে। তাতে কোরিয়ান দ্বীপাঞ্চলে উত্তেজনা বিস্ফোরণোন্মুখ রয়েছে বলে এর কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক চোই জু হিওন ওই আর্টিকেল লিখেছেন। এতে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার অনুসারীরা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যে বেপরোয়া সামরিক উন্মাদনা চালাচ্ছে তাতে এই দ্বীপাঞ্চলের পরিস্থিতিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অপরিবর্তনীয় এক বিপর্যয়ে, তা হলো পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত। এতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক মহল সবসম্মতভাবে আশা করে কোরিয়া দ্বীপাঞ্চলের ওপর যে পারমাণবিক যুদ্ধের কালো মেঘ জমে আছে তা সরে যাবে। যত তাড়াতাড়ি তা সরে, ততই মঙ্গল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। 

উল্লেখ্য, মার্চ মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বার্ষিকভিত্তিতে সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে আকাশ ও সমুদ্রপথে মহড়া। এতে যুক্ত আছে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তিচালিত যুদ্ধবিমান বহনকারী যুদ্ধজাহাজ। বহন করা হচ্ছে বি-১বি এবং বি-৫২ বোমারু বিমান। বুধবার এক মাসের মধ্যে প্রথম মোতায়েন করা হয়েছে বি-৫২। 

এতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএস নিমিটজ যুদ্ধবিমানবাহী জাহাজের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এর জবাবে পিয়ংইয়ং বলেছে, তারা শিগগিরই পারমাণবিক মহড়া চালাবে। বলা হয়েছে, যৌথ ওই মহড়ার মধ্য দিয়ে কোরিয়ান অঞ্চলকে বিশাল এক পাউডার ম্যাগাজিন বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এতে যেকোনো সময় পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। 
গত বছর রেকর্ড পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ংইয়ং। কয়েক সপ্তাহ ধরে তাদের সামরিক তৎপরতাকে সক্রিয় করছে। অবমুক্ত করা হয়েছে ছোট আকারের পারমাণবিক অস্ত্র। পরীক্ষা চালানো হয়েছে দীর্ঘ পাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র- হোয়াসোং ১৭। পরীক্ষা চালিয়েছে পানির নিচে পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পন্ন একটি ড্রোন। সাবমেরিন থেকে ছুড়েছে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। ওদিকে এ সপ্তাহে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক পরিষদ উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে বার্ষিক একটি রেজ্যুলুশন গ্রহণ করেছে। এর কড়া নিন্দা জানিয়েছেন জেনেভায় উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি হ্যান তাই সোং।