ভারতের হয়ে খেললে নিষিদ্ধ হতাম না, ১ হাজার উইকেট পেতাম: আজমল

ভারতের হয়ে খেললে নিষিদ্ধ হতাম না, ১ হাজার উইকেট পেতাম: আজমল

প্রথম নিউজ, স্পোর্টস ডেস্ক: সাইদ আজমল, পাকিস্তান ক্রিকেটের এক আক্ষেপের নাম। একটা সময় শুধু পাকিস্তান দলের নয়, বিশ্বক্রিকেটেই সেরা স্পিনারদের মধ্যে ছিলেন তিনি। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে হয়েছিলেন বিশ্বের এক নম্বর বোলার।

সেই আজমলকে পরে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। শেষবার পাকিস্তানের জার্সি গায়ে এই অফস্পিনার খেলেছেন ২০১৫ সালে।

আজমল মনে করেন, তার ওপর অবিচার হয়েছে। পাকিস্তানের হয়ে না খেলে ভারতের হয়ে খেললে আর তাকে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হতো না, এমন দাবি তো করেছেনই, বলেছেন-এতদিনে তার নামের পাশে ১ হাজার উইকেট থাকতো।

বোলিং অ্যাকশনের কিছু সমস্যার জন্য আজমলকে বোলিং পদ্ধতি বদলাতে হয়েছিল। তবে ২০০৯ সালে আইসিসি বোলিং অ্যাকশন সংক্রান্ত নিয়ম বদল করে। তাতেই আটকে যান আজমল। পাকিস্তানি এই অফস্পিনার দেশের হয়ে ৩৫টি টেস্ট ম্যাচ, ১১৩টি ওয়ানডে এবং ৬৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। টেস্টে ১৭৮, ওয়ানডেতে ১৮৪টি এবং টি-টোয়েন্টিতে তার নামের পাশে ৮৫টি উইকেট।

৪৫ বছর বয়সী আজমল মনে করেন, ভারতের হয়ে খেললে তার ক্যারিয়ারটা এমন হতো না। নাদিম আলি পডকাস্টে আক্ষেপ করে সাবেক এই অফস্পিনার বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে গেলে আমি ভারতের হয়ে যদি খেলতাম, তাহলে এতদিনে ১ হাজার উইকেট নিয়ে নিতাম। আমি এমনই একজন বোলার ছিলাম যে প্রতিবছরই ১০০টি করে উইকেট নিতাম। আমি ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যতগুলো ম্যাচ খেলেছি তার মধ্যে ৩২৬টি উইকেট নিয়েছি।’

আইসিসিকে দায়ী করে আজমল বলেন, ‘২০০৯ সালেই আমাকে থামানো উচিত ছিল ওদের (যদি বোলিং অ্যাকশনে সমস্যাই থাকে)। কিন্তু তারা আমাকে খেলার অনুমতি দেয়। ৪৪৮ উইকেট পাওয়ার পর তখন তারা বুঝতে পারে আমাকে থামানো দরকার। আর এর জন্য যা করার তারা সেটাই করে। আমি সেই সময় বিশ্বের এক নম্বর বোলার ছিলাম। কিন্তু আমার উপর বোলিং নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফলে আমি সেই সময় হতাশ হয়ে যাই এবং নিজের ফর্ম হারিয়ে ফেলি।’