বর্তমানে হাইকোর্ট -সুপ্রিম কোর্টেও ভোট চুরি হয়: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। কারণ এই দেশে হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টে ভোট চুরি হয়। এসময় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে আওয়াজ তুলেন- আওয়ামী লীগের নাম কী? নেতা-কর্মীরা তখন স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে ভোট চোর, ভোট চোর। তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ শুধু জাতীয় নির্বাচন আর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট চুরি করে না, সুপ্রিম কোর্টেও ভোট চুরি করছে।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। কারণ এই দেশে হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টে ভোট চুরি হয়। এসময় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে আওয়াজ তুলেন- আওয়ামী লীগের নাম কী? নেতা-কর্মীরা তখন স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে ভোট চোর, ভোট চোর। তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ শুধু জাতীয় নির্বাচন আর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট চুরি করে না, সুপ্রিম কোর্টেও ভোট চুরি করছে।
বুধবার (১৫ মার্চ) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয়তাবাদী যুবদল এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, অনির্বাচিত, গণবিরোধী ও দেশবিরোধী সরকার ভয় দেখাতে অতীতে র্যাব দিয়ে গুম করেছে। এখন পুলিশের ডিবি দিয়ে গ্রেপ্তার করছে। এই ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে কখনো কোনো দিন অস্ত্র দিয়ে দাবিয়ে রাখা যায় না। অতীতেও যায়নি। প্রভাবশালী ডিক্টেটর হিটলার পারেনি, পরিণতিতে বিষপাণ করে মৃত্যুবরণ করেছে। ইরাকের সাদ্দাম মাটির নিচে গুহায় লুকিয়েও বাঁচতে পারেনি। মুসোলিনি পারেনি, আইয়ূব-ইয়াহিয়া ও ভুট্টো পারেনি। এই আওয়ামী লীগ সরকারও পারবে না।
তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে গুম করা হচ্ছে। হাজারো নেতা-কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। থানায় নিয়ে পায়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে কী কোনো ভয় সৃষ্টি করাতে পেরেছে, কোনো লাভ হয়েছে? হয়নি। আওয়ামী লীগ মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে মেগা দুর্নীতি করছে। আর লম্বা লম্বা কথা বলে যে, নির্বাচন হবে সংবিধান মোতাবেক। অথচ সংবিধান তো তারাই কেটে-ছেটে শেষ করেছে। এই দেশে আর কোনো বিনাভোটের নির্বাচন হবে না। প্রতিটি রাস্তায়, পাড়া-মহল্লায় ঘরে ঘরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করে দুর্নীতির হাত থেকে বাঁচতে আবারও একদলীয় বাকশালে ফিরে যেতে চাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
রাস্তায় নেমে আসা ছাড়া এই সরকারের পতন হবে না : টুকু
যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা কথা বললেই নির্যাতন, নিপীড়ন, গুম ও খুন করা হয়। মামলা দেওয়া হয়, জেলে নির্যাতন করা হয়, জনগণকে গুলি করা হয়, জনগণকে হত্যা করা হয়। বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। টুকু বলেন, দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সাথে নাই। তারা এখন সমাবেশের জন্য রোহিঙ্গা ভাড়া করে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, সরকার সব খাত ধ্বংস করে দেশকে ভঙ্গুর করে দিয়েছে। রাস্তায় নেমে আসা ছাড়া এই সরকারের পতন হবে না। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনের যাওয়ার কথা যদি কেউ চিন্তাও করে সেটা হবে সবচেয়ে বড় ভুল। জাতীয়তাবাদী দলের প্রত্যেক নেতাকর্মী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে সক্রিয় রয়েছে।
যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সেলিমুজ্জামান সেলিম, মামুন হাসান, নুরুল ইসলাম নয়ন, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, কামরুজ্জামান দুলাল, করিম সরকার, গিয়াস উদ্দিন মামুন প্রমুখ।