সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন :নতুন তারিখ ঘোষণার দাবি বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের

সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের উপর পুলিশি হামলার বিচারবিভাগের জন্য কলঙ্কজনক, কোন সাহসে সুপ্রিমকোর্টে পুলিশ ঢুকলো। কার নির্দেশে পুলিশ এসে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করলো, হামলা করলো। প্রধান বিচারপতিকে এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।

সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন :নতুন তারিখ ঘোষণার দাবি বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের

প্রথম নিউজ, ঢাকা: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অবৈধ দাবি করে নতুন কমিশন গঠন ও ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। বুধবার (১৪ মার্চ) বিকেল ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন এ দাবি জানান।
সুপ্রিমকোর্টে পুলিশ ঢুকে আইনজীবীদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এই ঘটনাকে বিচারবিভাগের জন্য কলঙ্কজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোন সাহসে সুপ্রিমকোর্টে পুলিশ ঢুকলো। কার নির্দেশে পুলিশ এসে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করলো, হামলা করলো। প্রধান বিচারপতিকে এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। আপনার অনুমতি ছাড়া কখনোই পুলিশ আসতে পারে না। মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, যারা আমাদের আইনজীবী ও সাংবাদিক ভাইদের রক্ত ঝরিয়েছে মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের বিচার করতে হবে। এটা আমাদের দাবি।  নির্বাচন বর্জনের প্রশ্নে খোকন বলেন, যেখানে কোনো নির্বাচনই হচ্ছে না সেখানে বর্জনের প্রশ্ন আসে কিভাবে? সুপ্রিমকোর্টে কোনো ভোট ও নির্বাচন হচ্ছে না। এসময় খোকন বলেন, যেহেতু প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেছেন।

তাই সবার মতামত নিয়ে নতুন কমিশন গঠন করে তারপর ভোটগ্রহণ শুরু করতে হবে। কোন বানানো ও পাতানো কমিশনের অধিনে নির্বাচন হবে না। এটা আমরা মানবো না।  আমাদের দাবি দুটি। এক, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে ভোটগ্রহণ, আরেকটা হলো  আইনজীবী ও সাংবাদিকদের যারা মারধর করে আহত করেছেন তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এই দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে। খোকন বলেন, প্রধান বিচারপতির কাছে চারবার গিয়েছি। কোনো কাজ হয়নি। মাননীয় আপনি কিন্তু  দায় এড়াতে পারেন না। আর যে আইনজীবীরা  এই অনিয়মের সাথে জড়িত তাদের সনদ বাতিল করতে হবে।

তিনি বলেন, সমিতির নিয়ম অনুযায়ী সমিতির সিনিয়র সদস্যকে নির্বাচন কমিশনের প্রধান করা হয়েছে। কিন্তু গতকাল (মঙ্গলবার) কমিশনের প্রধান পদত্যাগ করায় কোনো আলোচনা ছাড়াই অন্য একজন একজনকে উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি আমাদের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজ। তাই এ কমিশন বৈধ নয়। অবৈধ কমিশনের মাধ্যমে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। এ কমিশন বাদ দিয়ে নতুন কমিশন গঠন ও ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করতে হবে। সকালে পুলিশের হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের মতো জায়গায় পুলিশ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের ওপর এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সঙ্গে হামলাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।  এ সময় সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট জয়নাল আবেদীন, এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যরিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যরিস্টার কায়সার আহমেদ, কামরুল ইসলাম সজলসহ শত শত আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য আজ দিনভর সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের উপর হামলা করে পুলিশ। এতে ১০ সাংবাদিকসহ শত শত আইনজীবী আহত হয়েছেন। পরে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের বের করে দিয়ে ভোটগ্রহন করা হয়। বিএনপিপন্থী আইনজীবী এডভোকেট ইকবাল শেখ জানান মাত্র গুটি কয়েক আওয়ামীপন্থী আইনজীবী ভিতরে ঢুকে তাদের পক্ষে ভোট মারছে। এখানে আমাদের ভোটাররা যাচ্ছে না। এমনকি সাধারণ ভোটাররাও ভোট দিচ্ছেন না।