বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়ায় কলকাতার ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত
মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১২ মিনিটে এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ঢাকার বস্ত্র ব্যবসার পীঠস্থান বঙ্গবাজার পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় ওপার বাংলার নিদারুণ ক্ষতিগ্রস্তদের মতো মাথায় হাত এপারের বস্ত্র ব্যবসায়ীদেরও।
প্রথম নিউজ অনলাইন: মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১২ মিনিটে এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ঢাকার বস্ত্র ব্যবসার পীঠস্থান বঙ্গবাজার পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় ওপার বাংলার নিদারুণ ক্ষতিগ্রস্তদের মতো মাথায় হাত এপারের বস্ত্র ব্যবসায়ীদেরও। কেউ সরাসরি স্বীকার করছেন। কেউ মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন। কিন্তু সকলেই একমত যে, ঈদের আগে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তারাও কম ক্ষতির মুখে পড়েননি। বঙ্গবাজারে পাইকারি তাঁতের শাড়ি বিপনন করেন রতন লাল সাহা। তিনি বললেন, বাংলার তাঁতের শাড়ির কদর বাংলাদেশে বেশ বেশি। শান্তিপুর - ফুলিয়ায় তাঁত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরাসরি শাড়ি কিনে তিনি ঢাকার বঙ্গবাজারে সরবরাহ করতেন। করোনায় বাংলাদেশের পর্যটকদের ভারতে আসা বন্ধ থাকার সময় বাংলার তাঁতের শাড়ির চাহিদা বাংলাদেশে বেড়েছিল। ঢাকার বঙ্গবাজারের মহাজন মারফত এই তাঁতবস্ত্র পৌঁছে যেত রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রামে। রতনলাল বাবুর আশা ছিল, এবার ঈদের সময় ব্যবসা ভালো হবে। সেই আশায় যেন ছাই পড়ে গেল।
রতন লাল বাবুর মতোই বড়বাজারের বহু ব্যবসায়ী মাথায় হাত দিয়েছেন ঢাকার বঙ্গবাজার ছাই হয়ে যাওয়ায়। রূপসী এন্টারপ্রাইজের মালিক শান্তিলাল জৈন অবশ্য লাভ- লোকসানের কথা এখনই ভাবছেন না। তার মাথাব্যাথা পাঁচ হাজার সহযোদ্ধাকে নিয়ে। বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের তিনি সহযোদ্ধা বলেই ডেকে থাকেন। বললেন, এতগুলো মানুষের ভাত-রুটির সংস্থান কীভাবে হবে।
আশির দশকে গড়ে ওঠা বঙ্গবাজারের বেশিরভাগটাই কেন কাঠের স্ট্রাকচার ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শান্তিলাল বাবুর মতো কয়েকজন। বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে বিদ্যা সিনহা মিম, শবনম বুবলি কিংবা তাহসানের মতো সেলিব্রিটিরা পাশে দাঁড়িয়েছেন । এপার বাংলার ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, শুধু সেলিব্রিটি নয়, সর্বস্তরের মানুষের এগিয়ে আসা উচিৎ বঙ্গবাজারকে আবার বিজনেস হাবে পরিণত করার কাজে।