বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেফতারে ক্র্যাকডাউন চলছে: রিজভী

বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেফতারে ক্র্যাকডাউন চলছে: রিজভী

প্রথম নিউজ, ঢাকা:নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে, অপরদিকে সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেফতারে ক্র্যাকডাউন শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর।

তকাল গভীর রাতে ঢাকা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম), আজ ভোরে রাজধানীর উত্তরা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং গতকাল ঢাকা থেকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্সকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকর্তৃক গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র দেশটাকে এখন বৃহৎ কারাগার বানিয়ে ফেলেছেন। একদিকে সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে, অপরদিকে সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেফতারে ক্র্যাকডাউন শুরু হয়েছে। এটি যেন এক মহা তামাশা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিএনপি'র বন্ধ কার্যালয়ে ইসির চিঠি প্রেরণও ছিল আরেকটি তামাশা। আসলে সরকার নিজেদেরকে অতি চালাক ভাবছে এবং সবকিছুতেই ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপিরসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদেরকে যেভাবে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে তাতে এটি সুস্পষ্ট যে, আগামী নির্বাচন যেনতেন প্রকারে অনুষ্ঠিত করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিতে বদ্ধপরিকর অবৈধ শাসকগোষ্ঠী। কিন্তু এবার আওয়ামী অবৈধ সরকারের এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দিবে না জনগণ। ধারাবাহিকভাবে নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারে প্রচন্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণ আরও বলিয়ান হচ্ছে।

বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ছাড়া জনগণ রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাবে না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অবিলম্বে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম), আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান।