ফেরার ম্যাচে গোল করলেন দি মারিয়া, মাঠ ছাড়লেন চোট পেয়ে

ফেরার ম্যাচে গোল করলেন দি মারিয়া, মাঠ ছাড়লেন চোট পেয়ে

প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক:  ম্যাচটা বিশেষই ছিল আনহেল দি মারিয়ার জন্য। প্রায় দুই দশক পর তিনি ফিরে এসেছিলেন তার শৈশবের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে। ফেরার ম্যাচটা গোল করে রাঙালেন তিনি। তবে পরের গল্পটা ঠিক মনমতো হলো না তার। মাঠ ছাড়তে হলো চোট পেয়ে। 

আর্জেন্টিনার দীর্ঘ ২৮ বছরের মহাদেশীয় শিরোপাখরা কাটানোর নায়ক তিনি। এরপর শেষ চার  আলবিসেলেস্তেরা যা কিছু জিতেছে, সবকটা টুর্নামেন্টে বড় অবদান রেখেছেন দি মারিয়া। সেই তিনি যখন তার শৈশবের ক্লাবে ফিরবেন, তখন স্থানীয়রা যে তাকে বরণ করে নিতে যাবেন, তা অনুমেয়ই ছিল। 

সেটা হলোও শেষমেশ। দি মারিয়াকে দেখতে গ্যালারিতে হাজির হয়েছিলেন ৪৬ হাজার দর্শক। এস্তাদিও ইহান্তে দে আরোয়িতোয় তিনি যখন মাঠে নামলেন, দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দিতে গিয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। 

সে ভালোবাসার জবাবটা দি মারিয়া দিয়েছেন গোল করে। ৭৮ মিনিটে তার করা এক গোলই এগিয়ে দেয় তার দলকে। 

তবে ম্যাচের শেষ দিকে তিনি বাজেভাবে ফাউলের শিকার হন। যার ফলে তাকে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়। সে সময়ও চোখ থেকে পানি ঝরেছে তার। যদিও এ অশ্রু দুঃখের।

তার মাঠ ছাড়ার পর অবশ্য বিপদে পড়েছে তার দল রোজারিও। গোল খেয়েছে একটু পরই। গোদয় ক্রুজের সঙ্গে ১-১ ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয় রোজারিওকে।

ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দি মারিয়া লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তটা ভোলার নয়। এর জন্য বহু বছর অপেক্ষা করেছি। এত ভালোবাসা দিয়েছেন আমাকে, আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। যদিও কাঙ্ক্ষিত ফলাফলটা পাইনি এই ম্যাচে, তবে এটা তো কেবল শুরু, আরও অনেক পথ বাকি।’

১৯৮৮ সালে আর্জেন্টিনার সান্তা ফের রোজারিও শহরে জন্ম নেন দি মারিয়া। রোজারিও সেন্ট্রালের সঙ্গে তার যোগটা শুরু হয় বছর চারেক পরই। সে সময় থেকে ক্লাবের একাডেমিতে খেলেছেন তিনি। 

এরপর টানা ১৩ বছর ক্লাবটির বিভিন্ন পর্যায়ে খেলে মূল দলে ডাক পান তিনি। ২০০৫ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ৩৯ ম্যাচে করেন ৬ গোল।

আর্জেন্টিনা ছেড়ে তিনি বেনফিকায় যোগ দেন ২০০৭ সালে। এরপর রিয়াল মাদ্রিদকে জিতিয়েছেন অধরা লা দেসিমা, ম্যানচেস্টার ইউনাইডেড, পিএসজি, জুভেন্টাসেও খেলেছেন তিনি। বেনফিকাতে ফিরে খেলেছেন ২ মৌসুম। এবার তিনি ফিরে গেলেন রোজারিও সেন্ট্রালে।