পুলিশের ধাওয়ায় ফাঁকা বায়তুল মোকাররম
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে জোরপূর্বক গায়েবানা জানাজা পড়ে মুসল্লিরা। এরপর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ধাওয়া দেয়, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে বায়তুল মোকাররমে জোহরের নামাজের পর বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ মুসল্লি দাবি করা কয়েকশ লোক। সেখানে শোক দিবসের মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এরমধ্যেই জোরপূর্বক গায়েবানা জানাজা নামাজের চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে জোরপূর্বক গায়েবানা জানাজা পড়ে মুসল্লিরা। এরপর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ধাওয়া দেয়, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, জোহরের পর বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ করে একদল মুসল্লি। মসজিদের ভেতরে শোক দিবসের দোয়ার অনুষ্ঠান চলছিল। পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিক্ষোভকারীদের একাংশ পুলিশের ওপর হামলা করে। পুলিশ নিরাপত্তায় ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ধাওয়া দেয় ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। মসজিদের ভেতরে এখন তেমন কারো উপস্থিতি নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
পল্টন থানার ওসি সালাহউদ্দিন মিয়া বলেন, বিক্ষোভকারীদের বেশ ক’জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও নাম পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী গতকাল রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।