দুধের সঙ্গে এই ৭ খাবার খাবেন না

দুধের সঙ্গে এই ৭ খাবার খাবেন না

প্রথম নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক: শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য আমরা প্রতিদিনের তালিকায় পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার রাখি। সেসব পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে দুধ অন্যতম। এটি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি-৬, ডি, কে, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, আয়োডিন ইত্যাদির মতো পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে যা দুধের সঙ্গে খেলে হজমের অস্বস্তি বা পুষ্টির শোষণ কমে যেতে পারে। জেনে নিন এমন ৭টি খাবার সম্পর্কে যেগুলো দুধের সঙ্গে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে-

দই: দুধ এবং দই একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। দুধের সঙ্গে বা দুধ খাওয়ার পরপরই দই খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচিত হয়। এ কারণে আপনার পেট সংক্রান্ত সমস্যাও হতে পারে এমনকী পেটও খারাপ হতে পারে।

সাইট্রাস ফল: দুধ এবং সাইট্রাস ফল একসঙ্গে খাওয়া যাবে না। সাইট্রাস ফল এবং দুধ একসঙ্গে খেলে বমি বা পেটে ব্যথা হতে পারে। যদি দুধ পান করতেই হয়, তাহলে ফল খাওয়ার পর অন্তত ২ ঘণ্টা বিরতি দেবেন।

গুড়: অনেকেই বেশি উপকারিতা পাওয়ার আশায় দুধের সঙ্গে চিনির পরিবর্তে গুড় যোগ করে। এটি একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প মনে হতে পারে, তবে বিশেষজ্ঞরা দুধের সঙ্গে গুড় পেটের জন্য ক্ষতিকারক বলে মনে করেন। এর কারণে পেট খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

মাছ: মাছকে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়, তবে দুধ ও মাছ কখনোই একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে খাদ্যে বিষক্রিয়া, পেট ব্যথা ইত্যাদির মতো হজমের সমস্যায় সমস্যায় পড়তে পারেন। এছাড়া ত্বক সংক্রান্ত সমস্যাও হতে পারে। পাশাপাশি নারিকেল ও দুধ একসঙ্গে খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হয়।

লবণাক্ত স্ন্যাকস: চিপস এবং প্রিটজেলের মতো লবণাক্ত স্ন্যাকস আপনাকে তৃষ্ণার্ত করে তুলতে পারে। এরপর দুধ দিয়ে সেই তৃষ্ণা মেটালে স্ন্যাকসে থাকা উচ্চ লবণের উপাদান শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যকে ব্যাহত করতে পারে। এর ফলে পেট ফেঁপে যাওয়া এবং অস্বস্তি হতে পারে।

মসলাযুক্ত খাবার: মসলা পেটে অ্যাসিড উৎপাদনকে উদ্দীপিত করতে পারে, যা দুধের সঙ্গে মিশলে কারও কারও ক্ষেত্রে হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মসলাদার খাবার যেমন গরম তরকারি, মরিচ এবং ভারী মসলা দুধের সঙ্গে খাওয়া হলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা বদহজমের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: দুধ প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। তাই ডিম, মাংস বা মটরশুঁটি জাতীয় উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারের সঙ্গে এটি খেলে তা পাচনতন্ত্রকে ওভারলোড করতে পারে। একাধিক প্রোটিন উৎসের সংমিশ্রণ হজম করা কঠিন হতে পারে এবং হজমের সমস্যা হতে পারে।