নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা আছে কি না, জানতে চেয়েছে ইইউ
প্রথম নিউজ, ঢাকা : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার কোনো আশঙ্কা আছে কি না, তা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল।
সোমবার (১০ জুলাই) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইইউয়ের পর্যবেক্ষক দলটি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিং করেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে কমিশনার বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার আশঙ্কা আছে কি না, তা কমিশনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কমিশনের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষক দলকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো রয়েছে।
কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বৈঠকে সব ধরনের মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমার ধারণা, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে পারে। তবে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে ইইউর প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে, সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইইউর প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে এখন পর্যন্ত গণমাধ্যমে কোনো তথ্য প্রকাশ করতে চাচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ইইউর প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক নেতা, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠকে বসবে।
নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফরে এসেছে ইইউর প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলটি। সফরের শুরুর দিন রোববার (৯ জুলাই) সকালে ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলির গুলাশানের বাসায় শুরু হয় প্রথম কর্মযজ্ঞ। সেখানে ইইউয়ের কয়েকটি সদস্য দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রুটিন বৈঠক করেন তারা। পরে ঢাকায় জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়াও জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গেও বৈঠক করেন তারা।
বাংলাদেশে দুই সপ্তাহ অবস্থান করবে ইইউয়ের পর্যবেক্ষক দলটি। বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন তারা। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলের কাছে তাদের মূল্যায়নের মতামত জমা দেবেন বিশেষজ্ঞ দলটি। তাদের মতামত ইতিবাচক হলে পরবর্তী সময়ে আরও প্রতিনিধি দল পাঠাবে ইইউ। আর সবকিছু ঠিক থাকলে অর্থাৎ প্রতিনিধি দলের মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ইইউ প্রধান।
ঢাকা মিশনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিকস ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়াদি মূল্যায়ন করবে দলটি।