নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিনিময়ে মুক্তির প্রস্তাব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বন্দি করার প্রমাণ
রাইট টু ফ্রিডমের ওয়েবিনারে বক্তারা
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপি সরকারের আমলেও আমরা র্যাবের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেছি। নির্বাচনে আমরা কারো পক্ষ নিইনা। এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার বিষয়ক উদ্বেগ হলো- বিএনপি নেতৃত্ব এবং দলটির বেশিরভাগ সিনিয়র নেতাকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। বিএনপি বেশ স্পষ্টভাবেই জানিয়েছে যে তারা নির্বাচন বয়কট করছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিনিময়ে দলটির সব নেতাদের মুক্তি দেওয়া হবে- আওয়ামী লীগের কাছ থেকে এমন প্রস্তাব যাওয়া এটাই প্রমাণ করে যে, এইসব গ্রেপ্তার এবং জেলে নেওয়ার ঘটনাগুলো কতোটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনভিত্তিক অধিকার সংগঠন 'রাইট টু ফ্রিডম' আয়োজিত ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) এর এশিয়া এডভোকেসি ডিরেক্টর জন সিফটন এমন মন্তব্য করেছেন। ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অ্যাম্বাসেডর উইলিয়াম বি মাইলাম।
আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর এশিয়া এডভোকেসি ডিরেক্টর ক্যারোলিন ন্যাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ফয়সাল মাহমুদ।
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সাবেক ডেপুটি চিফ অফ মিশন এবং রাইট টু ফ্রিডম এর বোর্ড মেম্বার জন এফ ড্যানিলোভিজের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে সমাপনী বক্তব্য রাখেন সংগঠনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মুশফিকুল ফজল আনসারী।