দখল চক্ষু হাসপাতাল চাঁপাই নবাবগঞ্জে
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ দলবল নিয়ে চক্ষু হাসপাতালটি দখলে নেন
প্রথম নিউজ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ : বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির চাঁপাই নবাবগঞ্জ শাখা পরিচালিত চাঁপাই নবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল ফিল্মি স্টাইলে দখল হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ দলবল নিয়ে চক্ষু হাসপাতালটি দখলে নেন। এ সময় তার সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শরীফুল আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফ জামান আনন্দ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সালসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী ছিলেন। আগে থেকে চক্ষু হাসপাতালে থাকা চলমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিমসহ কমিটির অন্য সদস্যদের অফিস কক্ষ থেকে বের করে দেয় পুলিশ। পরে জোরপূর্বক হাসপাতাল দখলে নেয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন চলমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হাকিম বলেন, কমিটি নিয়ে চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আগামী ৭ই জুলাই শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন আদালত। আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক মিলে অপকৌশল করে অবৈধ কমিটি গঠন করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে গুণ্ডা-মাস্তান বাহিনী নিয়ে চক্ষু হাসপাতাল দখলে নেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ। এর আগে সকালে হাসপাতাল থেকে পুলিশ আমাকে বের করে দিয়েছে।
আব্দুল হাকিম আরও বলেন, চর দখলের মতো দলবল নিয়ে হাসপাতাল দখলে নিয়েছেন আব্দুল ওদুদ। এতে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হবে বলে দাবি করেন তিনি। অভিযোগ প্রসঙ্গে বর্তমান কমিটির ভাইস চেয়াম্যান খাদেমুল ইসলাম বলেন, আব্দুল হাকিম ছিলেন ৬ষ্ঠ মেয়াদের কমিটির সাধারণ সম্পাদক। গত বছর ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। পরে এডহক কমিটি গঠন করা হয়। আব্দুল হাকিমও ওই কমিটির সদস্য ছিলেন। তবে নতুন কমিটি গঠনে কোনো সহযোগিতা না করে পদ দখলে রেখেছিলেন। পরবর্তী কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। খাদেমুল ইসলাম ভাইস চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী সৈয়দা কানিজ ফাতেমা মিতু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন বলে দাবি করেন। দলবল নিয়ে চক্ষু হাসপাতালে যাওয়া প্রসঙ্গে বর্তমান কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম বলেন, আব্দুল হাকিম হুমকি দেয়ার কারণে বর্তমান কমিটির চেয়ারম্যান দলবল নিয়ে চক্ষু হাসপাতালে গেছিলেন।
চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কি ঝামেলা রয়েছে তা আমার জানা নেই। এনিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews